তাৎক্ষণিকভাবে সম্মান অর্জনের জন্য যা করবেন
আপনার কি মনে হয়, আপনি যে সম্মান ‘ডিজার্ভ’ করেন, অন্যরা সেটি আপনাকে দিচ্ছে না? আপনি কি সেই দলের লোক, যাঁরা মনে করেন, জগতে সম্মানের চেয়ে বড় অর্জন আর নেই? আপনি কি জীবনে আরও সম্মানিত হতে চান? এই তিন প্রশ্নের যেকোনো একটির উত্তর যদি হয় ‘হ্যাঁ’, তাহলে লেখাটি আপনার জন্য। চলুন, চট করে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায় অন্যের চোখে সমীহ আর সম্মান অর্জনের উপায়গুলোয়।
১. কথা কম বলুন। হুট করে কোনো মন্তব্য করে বসবেন না। বেশি শুনুন। অন্যের কথা মন দিয়ে শোনার অভ্যাস করুন।
২. একটা মানুষের সবচেয়ে প্রিয় শব্দ কী, জানেন? তাঁর নাম। মানুষ তাঁর নিজের নাম শুনতে ভালোবাসে। তাই মানুষের নাম মনে রাখুন। নাম ধরে ডাকুন।
৩. পেছনে প্রশংসা করুন। সামনে সমালোচনা করুন।
৪. কেউ যদি কোনো কথা গোপন রাখতে বলে, যেকোনো মূল্যে গোপনীয়তা রক্ষা করুন।
৫. অন্যকে বেড়ে উঠতে বা অন্যের উন্নতিতে সাহায্য করুন, অনুপ্রাণিত করুন। একজন নেতার সবচেয়ে বড় গুণ এটিই।
৬. অন্যরা আগে প্লেটে খাবার তুলে নিক। তারপর আপনি নিন অথবা অন্যদের সার্ভ করে সবার শেষে নিজের পাতে খাবার তুলুন।
৭. যেকোনো কথোপকথন বা মিটিংয়ের সময় মুঠোফোন চোখের আড়ালে রাখুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। মন দিয়ে কথা শুনুন। থেমে থেমে কথা বলুন।
৮. যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে ৩ সেকেন্ড সময় নিন।
৯. পার্টি বা খাওয়াদাওয়া শেষে টেবিল বা ঘর পরিষ্কার করতে সাহায্য করুন।
১০. কেউ ঘরে ঢুকতে চাইলে দরজা খুলে দাঁড়ান। সে ভেতরে ঢোকা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
১১. কথা দেওয়ার সময় কম করে বলুন। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন।
১২. যেকোনো জায়গায় সময়মতো উপস্থিত হোন।
১৩. জীবনসঙ্গী, বন্ধু, পরিবার ও কাজের প্রতি শতভাগ সৎ থাকুন।
১৪. একমত না হলেও অন্যের মতামতকে সম্মান করুন।
১৫. কেউ যখন দেখছে না, তখনো মন দিয়ে কাজ করুন।
১৬. ‘প্লিজ’, ‘সরি’, ‘থ্যাংক ইউ’—এই শব্দগুলোর অনেক ক্ষমতা, কাজে লাগান।
১৭. নিজের ভুল বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করুন।
১৮. মনে রাখবেন, আপনার সঙ্গে কী ঘটেছে, তা দিয়ে মানুষ আপনাকে বিচার করবে না; বরং সেই ঘটনাগুলোতে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, সেটি আপনাকে ‘আপনি’ করে তোলে। তাই মানুষ কেমন, সে আপনার সঙ্গে কী আচরণ করেছে, সে হিসেবে তার সঙ্গে আচরণ করবেন না; বরং আপনি মানুষ হিসেবে কেমন, সে অনুযায়ী সামনের মানুষটার সঙ্গে আচরণ করুন।
১৯. ‘রিঅ্যাক্ট’ করবেন না; বরং ‘রেসপন্ড’ করুন। প্রতিক্রিয়া দেখাতে সময় নিন। ভুল থেকে শিখুন। রাগ, হতাশা ও দুশ্চিন্তার মতো নেতিবাচক বিষয়গুলো সামলাতে শিখুন।
২০. যেকোনো সম্পর্কে সীমানা টানুন। শেয়ার করার আগে ভাবুন, ‘ওভারশেয়ারিং’ করছেন না তো?
২১. যেকোনো পরিস্থিতি ইতিবাচকতা আর মনোবলের মাধ্যমে মোকাবিলা করুন।
২২. ‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’, সবার আগে নিজেই নিজেকে সম্মান করুন। নিজের নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখুন। নিজেকে জানুন। নিজেকে প্রতিনিয়ত ‘বেটার ভার্সন’ করে তোলার যাত্রা অব্যাহত রাখুন।
সূত্র: মাইন্ডসেট থেরাপির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল