বিয়েতে মিষ্টির ডালা সাজাবেন যেভাবে
বিয়েবাড়িতে মিষ্টি নেওয়ার রেওয়াজ নতুন না। তবে আজকাল তো সুতা বা রবারে বাধা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বিয়েবাড়িতে যাওয়া যায় না। বরের বাড়ি থেকে হোক বা কনের বাড়ি, মিষ্টি সুন্দর করে ডালা সাজিয়ে তবেই–না পাঠাতে হবে।
বিয়ের সাজসজ্জা নিয়ে কাজ করে এমন একটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ত্রয়ীস সিগনেচার। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান রিপ্তি ফারিদ তনিকা বলেন, বিয়েতে মিষ্টির ডালা নিয়ে আজকাল কম মাথা খাটাচ্ছে না বর–কনের পরিবার। সবারই চাওয়া থাকে, পরিবেশনা যেন হয় ইউনিক। এখন যেমন বড় ডালার ভেতরে কয়েক সারিতে মিষ্টিগুলো সাজানো হচ্ছে বেশি। আর হ্যান্ডমেড কাগজে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে সেই ডালা। কেউ কেউ কাচের বয়ামেও নিচ্ছেন মিষ্টি। অনেকে আবার কাঠের গুঁড়ি তৈরি করছেন মিষ্টি উপহার পাঠানোর জন্য।
পরিবেশনার গুনে জিলাপি দিয়ে সাজানো ডালাও দেখলে চোখ জুড়িয়ে যেতে পারে। এই যেমন ধরুন, গোল একটা বাঁশের ডালা মুড়িয়ে নিলেন নীল কাগজে। এরপর ডালার মাঝবরাবর রাখলেন এক হাঁড়ি দই। এবার বাকি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে দিন জিলাপি। ডালার একদিকে ফিতা দিয়ে একটি বা দুটি ফুল করে দিলেন। ব্যস, এতেই দেখতে চমৎকার লাগবে। খরচও কিন্তু খুব বেশি হবে না।
মিষ্টির দোকান মিঠাইওয়ালার হেড অব অপারেশন মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘যাঁর যেমন বাজেট, সেভাবেই মিষ্টির ডালা সাজিয়ে দিতে পারবে মিঠাইওয়ালা। আমাদের প্রায় ৫০ রকমের মিষ্টি আছে। স্বাদ ও পরিবেশন—দুটোতেই অভিনব হবে সেসব মিষ্টি।’
মিষ্টির ডালা সাজানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন—
মিষ্টির ডালায় কী ধরনের মিষ্টি রাখবেন, সেটা আগে ঠিক করে নিন। এরপর ডালা নির্বাচন করুন।
মিষ্টি বাছাই করার ক্ষেত্রে শুকনো মিষ্টিকে প্রাধান্য দিন। বিশেষ করে ডালা বা কাগজে পরিবেশনের ক্ষেত্রে।
ডালা ডেকোরেশনের জন্য শুকনো ফুল, পাতা, রিবন, কাগজ ব্যবহার করলে সুবিধা।
তাজা ফুল দিয়ে ডালা বানালে ফুলগুলো শেষের দিকে বসাতে হবে। নাহলে ফুল শুকিয়ে যেতে পারে। যেহেতু খাবার, তাই পরিবহনের সময় স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে নিতে পারেন।
ডালার মধ্যে ছোট্ট বর–বউ পুতুল বসিয়ে দিলেও দেখতে ভালো লাগবে।
রসগোল্লা, ছানার জিলাপি, রসমালাই–জাতীয় মিষ্টি হাঁড়িতেই পরিবেশন করা ভালো। হাঁড়ির গায়ে আলপনা এঁকে নিতে পারেন। চাইলে সিরামিকের নকশা করা হাঁড়িতেও দিতে পারেন।