শিশুর পোশাকে একুশ

একুশের পোশাকে শিশু দেশের ঐতিহ্য উপলব্ধি করতে শেখে
মডেল: তানিয়া ও নোরা, কৃতজ্ঞতা:রঙ বাংলাদেশ। ছবি: সুমন ইউসুফ

চেতনার বীজ বোনা হয়ে যায় শৈশবেই। দেশ ও ভাষার জন্য মমতাও গড়ে ওঠে এই বয়সে। ইতিহাসের পাতায় লেখা সংগ্রামের ইতিহাস শিশুর পক্ষে পুরোপুরি বুঝে ওঠা কঠিন। কিন্তু রোজকার জীবনধারায় গৌরবময় অতীতকে স্মরণ করে আপনি যা কিছু করবেন, শিশুর মনে তা স্থায়ীভাবে দাগ কেটে যাবে। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার অনন্য ইতিহাস ও অকৃত্রিম গৌরব উপস্থাপন করার দারুণ এক মাধ্যম হতে পারে শিশুর পোশাক।

শিশুর হাতে আঁকা বর্ণ ফুটে উঠুক পোশাকে
ছবি: প্রথম আলো

ঐতিহ্যের প্রতীক

রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে একুশের বিশেষ পোশাক। একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপন আমাদের ভাষার জন্য ভালোবাসার নিদর্শন ও শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মানের প্রতীক। একুশের পোশাকে শিশু দেশের ঐতিহ্য উপলব্ধি করতে শেখে। প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা পারিবারিক কোনো আয়োজনে অনেকে এমন বিশেষ পোশাক পরলে তা ঐতিহ্যগত একতার একটি অনুভব সৃষ্টি করে মনে।’

ইতিহাসের বর্ণ থেকে

কে ক্র্যাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘পোশাক ও অনুষঙ্গের মাধ্যমে প্রজন্মান্তরে এই অর্জনের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে পারি আমরা।’ এবার শিশুদের পোশাকে রঙের বিন্যাসকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পোশাকে সাদা ও কালো রং ছাড়া ধূসর রং ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু পোশাকে খানিকটা লাল রঙের ছোঁয়াও আছে।

পোশাকে বর্ণমালা
ছবি: সুমন ইউসুফ

প্রিয় বর্ণমালা

শিশুর পোশাকে বর্ণমালা কিংবা শহীদ মিনারের নকশা করে দিতে পারেন আপনি নিজেও। পোশাকে ব্যবহারের উপযোগী রং দিয়ে খুব সহজেই শিশুর পোশাকের এক কোণে একটি বর্ণ লিখে দিতে পারেন।

নকশা করতে পারেন বর্ণমালা দিয়েও কিংবা পোশাকের যেকোনো এক দিকে একটা সরলরেখায় বিন্যস্ত করে লিখতে পারেন কয়েকটি বর্ণ। শিশুও আপনার সঙ্গে যোগ দিতে পারে এই নকশার কাজে। একরঙা পোশাকে শহীদ মিনারের ছবি এঁকে দিলেও দারুণ হবে। চাইলে সুতার কাজে ফুটিয়ে তুলতে পারেন একুশের কোনো নকশা। এ ছাড়া একুশের বিভিন্ন স্মারক রাখতে পারেন ঘরে। বর্ণমালা দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন ঘরের কোনো একটি জায়গা।

শিশুর ঘরের সামনে তার নাম লিখে দিতে পারেন বাংলায়। বাড়ির প্রবেশপথে বাংলায় লিখতে পারেন নিজেদের নাম কিংবা লিখতে পারেন ‘স্বাগত’। কাঠের তৈরি বাংলা বর্ণ অনায়াসেই যোগ করতে পারেন অন্দরে। বছরের অন্যান্য সময়েও তাকে নিয়ে যেতে পারেন শহীদ মিনারে। বয়সের উপযোগী করে একুশের ইতিহাস ও গল্প শোনান তাকে।

আরও পড়ুন