মেয়েদের ঈদপোশাকে যে ধরনের নকশা দেখা যাচ্ছে
ছাপা ও সুতার নকশা, জারদৌসির কাজ আর চুমকির প্রাধান্য—ঈদপোশাকে এসব ধারাই এবার দেখা যাচ্ছে বেশি। শাড়ি থেকে পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক—সবকিছুতেই রং, নকশার উজ্জ্বলতা। গাঢ় থেকে গাঢ়তর কাজও দেখা যাবে
শাড়িতে ফুলের কাজ
সবুজ এই মসলিনের শাড়িটি বোনার সময় ভরনায় সুতার পাশাপাশি জরিও ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে সোনালি জরির উজ্জ্বলতাও চোখে পড়ছে। পুরো শাড়িতে ফুল ও পাতার এমব্রয়ডারির কাজ। এ বছর মসলিনে এ ধরনের টানা জরির সুতা এবং সব ধরনের পোশাকের ওপর ফুলের কাজ দেখা যাবে। শাড়ি: টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, গয়না: কনক দা জুয়েলারি প্যালেস
স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ
সব বয়সী নারী-পুরুষের পোশাকেই এ বছর স্ক্রিন ও ডিজিটাল প্রিন্টের কাজ দেখা যাবে। সঙ্গে পোশাকের ওপর কাচ বসানো হচ্ছে। এ কারণে পোশাকগুলো জমকালো চেহারা পাচ্ছে।
পোশাকে চুমকি এবং সবকিছুতে কটি
পোশাকের ওপর চুমকির কাজ এ বছরের অন্যতম আকর্ষণ। শাড়ি, ইনার, গাউন, টপস, প্যান্ট ইত্যাদি সবকিছুর সঙ্গেই এ বছর কটি পরার চল দেখা যাবে। কেপও থাকবে। কালো এ কামিজের চারটি অংশ। ভিসকস ক্রেপের ইনার ও পায়জামা, জর্জেটের কটি আর শিফনের ওড়না। কটির ওপরে সোনালি, রুপালি, মেটালিক রঙের চুমকির কাজ নজর কাড়ে।
টপস-প্যান্টেও ভিন্ন লুক
প্যান্ট ও টপস দিয়েও ভিন্নতর লুক তৈরি করা যায়। যেকোনো ধরনের পোশাকের ওপরই এ বছর জমকালো প্লিট, কুঁচি দেখা যাবে। সাধারণ একটি শার্টের চেহারাই বদলে দিয়েছে কুঁচি এবং দুই-তিন স্তরের ঝালর। জর্জেটের শার্টটির কলারের ঠিক নিচেই পরা হয়েছে চোকার ধাঁচের গয়না। প্যান্টটিও নজরকাড়া। এ বছর প্যান্টে থাকবে এ ধরনের ছাপা নকশা কিংবা হাতের কাজ।
লম্বা গাউনে ঈদ
স্পাইস অ্যান্ড হার্ব থিমে পোশাক বানিয়েছেন ডিজাইনার মুমু মারিয়া। রেড চিলি নামের গাউনটির মোটিফ মরিচের ফুল থেকে নেওয়া হয়েছে। পোশাকটির দৈর্ঘ্য মেঝে পর্যন্ত রাখা হয়েছে। সঙ্গে আছে মসলিনের ওপর টাইডাই করা ওড়না। এ বছর ফ্রিলের ব্যবহার হবে ব্যাপক। ঠিক বুকের নিচের অংশটিতেই কুঁচির ব্যবহার সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। শিফনের কাপড় বলেই কোমরের ওপরের অংশে হওয়া সত্ত্বেও এত ঘন কুঁচি খারাপ লাগছে না। পাশ্চাত্যে এখন কর্সেট পরার একটা ধারা দেখা যাচ্ছে। ওপরের অংশে সেটারই একটা ধাঁচ দেওয়া হয়েছে। জারদৌসি ও কারচুপির কাজের মাধ্যমে ফুলটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।