বর্ষায় চাই যেমন জুতা
এই রোদ তো এই বৃষ্টি। বর্ষাকালের আবহাওয়াটাই এমন। হয়তো আকাশ পরিষ্কার দেখে বাইরে বের হয়েছেন, অমনি ঝুম বৃষ্টি। পায়ে যদি থাকে সুন্দর ফ্যাশনেবল এক জোড়া জুতা, তাহলে সেগুলোর বারোটা। এই সময় তাই চামড়ার জুতা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, র্যাক্সিন অথবা চামড়ার জুতা ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর এতে পায়ের ত্বকেরও ক্ষতি হয়। বৃষ্টির দিনে তাই প্লাস্টিক বা পানিনিরোধক স্যান্ডেল বা জুতা বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
মার্কেটগুলোয় বৃষ্টিতে ব্যবহারের উপযোগী নানা ধরনের প্লাস্টিকের জুতা পাওয়া যাবে। দুই ফিতা, সামনে ঢাকা—বর্ষার উপযোগী এমন নানা নকশার স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে। দাম শুরু ২৫০ টাকা থেকে। দোকানিরা জানান, পায়ের ওপর আবরণী দেওয়া স্যান্ডেল চলছে বেশি।
জুতার দোকান লা মোডের স্বত্বাধিকারী ফাহমিদা ইসলাম বলছিলেন, হাঁটার সময় পায়ে যাতে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি ও কাদা না লাগে, সে জন্য জুতা বা স্যান্ডেলের সোল একটু উঁচু রাখা হচ্ছে। যাঁদের বৃষ্টির দিনে বেশি সময় বাইরে থাকতে হবে, তাঁদের জন্য পায়ের চারপাশের অংশ যেন ঢেকে থাকে, সেদিকে নজর রেখে জুতার নকশা করা হয়েছে।
প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা ভিজে গেলে টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই হবে। খুব দ্রুত এসব জুতার পানি শুকিয়ে যায়। শুধু আরামই নয়, ফ্যাশনের দিকেও বিশেষভাবে মাথায় রাখা হচ্ছে। জুতার স্ট্র্যাপ আর আবরণীতে লাল, নীল, গোলাপির মতো উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার থাকছে।
বর্ষায় ব্যবহারের উপযোগী জুতা আশপাশের দোকানেই পাবেন। তবে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিভিন্ন রাবারের সোলের বৈচিত্র্যময় জুতা পাবেন নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর, গুলিস্তানের বিপণিবিতানগুলোয়। ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন বসুন্ধরা সিটি, রাপা প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, মেট্রো শপিং মল প্রভৃতি বিপণিবিতানে। বাটা, গ্যালারি এপেক্স, বে এম্পোরিয়ামসহ নানা ব্র্যান্ডের নিজস্ব আউটলেটে তো আছেই।
নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, মেট্রো শপিং মলসহ বিভিন্ন জুতার দোকানে মেয়েদের জন্য কৃত্রিম চামড়া ও র্যাক্সিনের তৈরি জুতার দাম পড়বে ৪৫০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। শিশুদের জন্য পানিরোধক জুতা পাওয়া যাবে ৮০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে। গ্যালারি এপেক্সে ছেলেদের জুতাগুলোর দাম ১ হাজার ৩৫০ থেকে শুরু। বর্ষায় ব্যবহার উপযোগী লেদার সিনথেটিক মেশানো কেডস পাওয়া যাবে ৭০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে।