যেভাবে শাড়িতে সাজতে পারে ছোট্ট মেয়েটি

পয়লা বৈশাখে মূলত দেশীয় ধাঁচের পোশাকই পরা হয়মডেল: সেজমিন ও আলইয়ানা, শাড়ি, ব্লাউজ ও অনুষঙ্গ: ইনসি উইনসি’স ক্লোজেট, ছবি: কবির হোসেন

যেকোনো উৎসবেই শিশুর পোশাকের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বাড়িতে ছোট সদস্যটিকে কীভাবে সাজানো হবে, সেটার তোড়জোড়েই যেন উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। পয়লা বৈশাখে মূলত দেশীয় ধাঁচের পোশাকই পরা হয়। শাড়ি থাকে তালিকার ওপরে। শিশুদের শাড়ি পরানো, সাজানো এবং সারা দিন সেই সাজে গরম আবহাওয়ায় বাইরে ঘোরাটা একটু চ্যালেঞ্জই বটে। তবু বের হতে হবেই। সাধারণভাবে শাড়ির কাজ, সাজে চলে আসবে উজ্জ্বলতা, তবে আরামের বিষয়টিও থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সেলাই করা শাড়ি বেছে নেওয়া যায়। স্কার্টের মতো করেই পরবে ছোট্ট মেয়েটি, কিন্তু সাজপোশাকে ফুটে উঠবে দেশীয় ধারা।

মডেল: সেজমিন ও আলইয়ানা, শাড়ি, ব্লাউজ ও অনুষঙ্গ: ইনসি উইনসি’স ক্লোজেট, ছবি: কবির হোসেন

দুটি শাড়িতেই ব্লকের প্রিন্ট করা। জমিনে একাধিক উজ্জ্বল রং থাকার কারণে উৎসবের আনন্দটা যেন পরিপূর্ণভাবে চলে এসেছে। গয়নাগুলোও শিশুবান্ধব। কানের দুলজোড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে চুম্বক। ছিদ্র না থাকলেও সহজে পরতে পারবে শিশুরা। আঁচলের অংশটি বেল্ট দিয়ে আটকে দিতে পারেন। এতে সামলাতে সুবিধা হবে।

মডেল: সেজমিন ও আলইয়ানা, শাড়ি, ব্লাউজ ও অনুষঙ্গ: ইনসি উইনসি’স ক্লোজেট, ছবি: কবির হোসেন

বৈশাখের চিরাচরিত রঙেই সেজেছে দুজন। লাল–সাদা মণিপুরি নকশার শাড়ির সঙ্গে ঘটি হাতার ব্লাউজ। গলার কলারটা নজর কাড়ে। আলাদা করে লেস লাগানো হয়েছে। কড়ির গয়নায় সাজ সম্পূর্ণ। চাইলে গলা বা কান—যেকোনো একটি অংশে পরানো যেতে পারে গয়না। চুল খোঁপা করা। আরেকজন পরেছে লালের ওপর সাদা রঙের ব্লক প্রিন্ট করা শাড়ি। আঁচল আর কুঁচির ডিজাইন আলাদা। পুরো পাড় এবং ব্লাউজের হাতায় কুঁচি করা। সাজে যোগ করা হয়েছে ছোট কৃত্রিম মুক্তার গয়না।

মডেল: সেজমিন ও আলইয়ানা, শাড়ি, ব্লাউজ ও অনুষঙ্গ: ইনসি উইনসি’স ক্লোজেট, ছবি: কবির হোসেন

গামছা প্রিন্টের শাড়ির সঙ্গে ব্লকের কাজ ভিন্নতা নিয়ে এসেছে পুরো শাড়িতে। পাশে সাদা জমিনের ওপর ম্যাজেন্টা রঙের ব্লক প্রিন্টের কাজটিও বেশ স্নিগ্ধ লাগছে দেখতে। শাড়ির ওপরে বেল্টে আছে পমপম, ডলার আর কড়ির কাজ। দুটি ব্লাউজই ঘটি হাতার। পয়লা বৈশাখের জন্য দুটি শাড়িই মানানসই। বেণি করা হয়েছে রঙিন ফিতা দিয়ে।