‘ওভারডু’ আমার একদম পছন্দ নয়: বাঁধন
যদি বলা হয় এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘ফ্যাশনেবল গার্লের’ নাম বাঁধন, বেশি বাড়াবাড়ি হবে না বোধ হয়। একের পর এক চোখে তাক লাগানো পোশাকে দেশের সাধারণ মানুষ আর ফ্যাশনিস্তাদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। আজ ৭৪তম কান চলচ্চিত্রউৎসবের শেষ দিন। শেষদিনের পোশাক এখনো সামনে আসেনি। সর্বশেষ দুটি পোশাক নিয়ে এই আলাপের সূত্রপাত। দুটিই পছন্দ করেছেন অনুরাগীরা। মন্তব্যের উঠানে জানিয়েছেন সেই প্রতিক্রিয়া।
সম্প্রতি যে ডিপ ব্লু হাই স্লিট গাউনসদৃশ পোশাকটি পরেছেন, সেটি দুবাইভিত্তিক বাংলাদেশি ডিজাইনার আসমা সুলতানার বানানো। হাত আর গলায় পালক বসানো এই পোশাক আসমার ব্র্যান্ড জোয়ানঅ্যাশ থেকে নেওয়া। বাঁধন কানের লালগালিচায় একের পর এক বাংলাদেশের নারী ডিজাইনারদের পোশাক পরে হাজির হচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নাম এল আসমা সুলতানার। ডিজাইনার আসমা বলিউড তারকাদের মধ্যেও এক পরিচিত নাম।
বাঁধনের কাছে জানতে চাইলাম, এই পোশাকের তৈরির ব্যাপারে তাঁর কোনো নির্দেশনা ছিল কি না। তিনি বললেন, ‘আমি কেবল কালারের ব্যাপারে বলেছিলাম। আর বলেছিলাম, সিম্পল রাখতে। বেশি গর্জিয়াস যেন না হয়। আমার “ওভারডু” একদম পছন্দ নয়। বাকিটা আপু নিজের মতো করে করেছে। এটাকে পুরোপুরি গাউন বলা যাবে না। শাড়ি শাড়ি একটা ব্যাপার আছে। একটা বিলাসী রিচক্লাস পোশাকে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে মানানসই করে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে এই ডিজাইনার সিদ্ধহস্ত। পোশাকটি পরে আমার নিজের দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। অল্প সময়ে ডিজাইনারদের কঠোর পরিশ্রম সফল।’
একজন বাঁধনের এই ছবির নিচে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ‘কান উৎসবে আপনার পরা সব কটি পোশাকের ভেতর এটা একেবারেই আলাদা ও আধুনিকতম। আমাদের দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররাও যে আন্তর্জাতিক মানের, সেই কথাই বলে এই পোশাক। আপনাকে খুব ভালো মানিয়েছে।’
এদিকে সর্বশেষ বাঁধনকে কানের লালগালিচায় দেখা গেছে সাদাকালো স্ট্রাইপের কোট আর প্যান্টে। সেটি দেশি ব্র্যান্ড জুরহেম থেকে নেওয়া। ডিজাইন করেছেন মেহরুজ মনির। এই পোশাক পরে কানের লালগালিচা থেকে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে বাঁধন লেখেন, ‘আজকের দিনে পরার জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আমি কল্পনাই করতে পারি না। এই পোশাক যেভাবে আমার শরীরে ফিট করে গেছে, যেভাবে আমার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলেছে, আমাকে আমি করে তুলেছে—তাতে আমি দারুণ খুশি। ‘আমি স্পেশাল’ আমাকে এমন অনুভব করিয়েছে এই পোশাক। যাঁরা বানিয়েছেন, তাঁদের আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
প্রতিটা সাজই ‘মিনিম্যালিস্টিক’ আর ‘ক্ল্যাসি’। পোশাকের সঙ্গে বদলেছে লিপিস্টিক, হেয়ার, জুতা আর সানগ্লাস। তবে চোখে কাজলের ব্যবহারে তিনি শতভাগ বাংলাদেশি নারীর পরিচয় দিয়েছেন। পশ্চিমা গাউনের সঙ্গেও চোখভরে কাজল দিয়েছেন। তাতে বেমানান লাগেনি এতটুকু। বরং পোশাকে যে পূর্ব আর পাশ্চাত্যকে বেঁধে ফেলা হয়েছে এক সুতায়, সেটিকেই সমর্থন করেছে তাঁর সাজ।