ঈদ ফ্যাশনে দেখা যাবে যে ধরনের ব্যাগ

সাধারণ নকশা ও উজ্জ্বল রং

সাধারণ নকশার ব্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে ডিজাইন যেমনই হোক, রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া হচ্ছে। যেমন বিটার চকলেট, সবুজ, লাল, হলুদ, নেভি ব্লু, গোলাপি ব্যাগের প্রতি সবার আগ্রহ বেশি। এ ছাড়া কালো, বাদামি, ট্যান রঙের ব্যাগের চাহিদাও কম নয়।

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ

ঈদের সাজের সঙ্গে মানানসই করার জন্য ব্যাগেও থাকছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ। হাতের কাজ, জমকালো পুঁতির কাজ ও ধাতব ডিজাইন ব্যাগের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে। সিল্ক, জামদানি ও কাঁথা স্টিচের মতো ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের ব্যাগ এ বছর নতুনত্ব আনছে। এ ছাড়া নতুন করে এসেছে জুট ফেব্রিকের ওপর হ্যান্ড পেইন্ট করা ব্যাগ। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জিনস-কুর্তা সবকিছুর সঙ্গে ব্যাগগুলো মানিয়ে যায় দারুণ।

পরিবেশবান্ধব ব্যাগ

বর্তমানে পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি ব্যাগের চাহিদা বাড়ছে। বাঁশের ফাইবার, কর্ক, পুনর্ব্যবহৃত কাপড়, পুরোনো ডেনিম, শাড়ি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন ব্যাগ সঠিকভাবে স্টাইল করতে পারলে ঈদ সাজে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।

মিডি বহুমুখী ব্যাগ

এ বছর চলবে মিডি ব্যাগ। অর্থাৎ মাঝারি আকারের ব্যাগ। এমন আকৃতির স্লিং ব্যাগ, হোবো ব্যাগ, অর্ধচন্দ্র ব্যাগ, ইস্ট-ওয়েস্ট ব্যাগের চাহিদা তরুণীদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের সঙ্গে আরও আছে নরম তুলতুলে মাঝারি আকৃতির স্লাউচি ক্লাচ ব্যাগ। আকার যেমনই হোক, ব্যাগগুলো কাজে কিন্তু যথেষ্ট বহুমুখী। এতে মুঠোফোন, কসমেটিকস, ছোট ছোট উপহারসহ অনেক কিছু রাখা সম্ভব। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিজাইনার ব্যাগেও এই ধারা দেখা যাচ্ছে।

মেটালিক ও গ্লসি ফিনিশ

ঈদের উৎসবে একটু জমকালো ভাব যোগ করতে মেটালিক শেড ও গ্লসি ফিনিশড ব্যাগও আছে। এবারও সোনালি, রুপালি, রোজ গোল্ড ও ব্রোঞ্জ রঙের ব্যাগ দারুণ চাহিদায় থাকবে। কারণ, রাতের দাওয়াত বা উৎসবের জন্য এমন ব্যাগ বেশ মানানসই।