জীবন আমাদের ডাকছে দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য: সলিমুল্লাহ খান

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ২২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো ২২ ফেব্রুয়ারি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত (২০২৪) লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। পড়ুন তাঁর বক্তৃতার নির্বাচিত অংশ।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানছবি: আশরাফুল আলম

প্রায় ৫০ বছর আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলাম। এ থেকেই আমার বয়স সম্পর্কে আপনারা খানিকটা আন্দাজ করতে পারবেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প দিয়েই একটু শুরু করি।

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র একবার বাংলায় সমাবর্তন বক্তৃতা দেওয়া হয়। বাকিগুলো ছিল ইংরেজিতে। ১৯৭০ সালে তৎকালীন বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী প্রথমবার তাঁর সমাবর্তন বক্তৃতা বাংলায় দেন। এই দুঃখের কথা বলার একটা কারণ আছে। মিস নাদিয়া অনোয়ারকে (এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) ধন্যবাদ, তিনি আমাকে বাংলায় বলার আদেশ দিয়েছেন বলাই ভালো। নাদিয়া হয়তো মনে করেছেন, তাহলেই আমি হয়তো খানিকটা বলতে পারব। আমার ইংরেজির জ্ঞান সম্পর্কে তাঁর হয়তো সন্দেহ আছে। (হাসি)

কিন্তু সমস্যা হলো, আমি কোনো দিন সমাবর্তন বক্তৃতা করিনি। কোনো সমাবর্তনে হাজিরও ছিলাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ঢাবিতে কোনো সমাবর্তন হয়নি। আমি ছাত্র হিসেবে তখন বিদেশে ছিলাম। তাই নিজের ডিগ্রি তখন গ্রহণ করতে পারিনি।

যাঁরা উপস্থিত থেকে হাতে ডিগ্রি নিলেন, তাঁরা সৌভাগ্যবান। আমি মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলাম, তাই আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে আমার কৌতূহল হয়। আমি যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চ’–এ উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সময় থিসিস ডিফেন্স দেওয়ার চার দিন পরই দেশে চলে আসি। ফলে সেখানেও আমি ডিগ্রি গ্রহণের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারিনি। সে জন্য আপনাদের আন্তরিক মোবারকবাদ।

আরও পড়ুন

কায়রোতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব কায়রো, বৈরুতে আছে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত। এগুলো ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল আরব দেশের পরিবেশে আমেরিকার জাগতিক শিক্ষা, ইহলৌকিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সেটা দিয়ে আরব জাতির অনেক উপকার তাঁরা করেছেন।

তবে মার্কিন দেশ আর বাংলাদেশের সমাজ যে এক সমাজ নয়, তাদের পার্থক্য যে যোজন যোজন দূরত্বব্যাপী, মহাসাগর পরিমাণ, সেটা আপনারা সবাই জানেন। তাদের সঙ্গে তুলনা করে সময় নষ্ট করব না।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান
ছবি: আশরাফুল আলম

একদা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউরোপে, বিশেষ করে গ্রিসে ‘একাডেমি’ বলা হতো। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় একটি জায়গা। ‘একাডেমি’ শব্দটা ছিল একটা জায়গার নাম। যেটা গ্রিসের মূল শহর এথেন্স থেকে অনেক মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। আপনারা বলতে পারেন, লেখাপড়া অনলাইনে করা যায়, বাড়িতে বসে করা যায়, এমনকি ‘লাইফ লং লার্নিং’ অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রেও শেখা যায়। শেখার কোনো শেষ নেই। কিন্তু জীবনের চার, পাঁচ বা ছয়-সাত বছর আমরা একটা জায়গায় কাটাই। বন্ধুবান্ধব হয়, পরিচয় হয়, লেখাপড়াও হয়। এখন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয় আসলে?

অনেকের চোখে বিশ্ববিদ্যালয় হলো কাজ জোগাড় করার জায়গা। ‘এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি’ বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রাচীনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধারণা ছিল না। শুধু গ্রিসের কথা বলছি না। আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশে, আফ্রিকার পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে বহু আগে; ইউরোপের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসরণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, তার আগেও আমাদের এখানে জ্ঞানচর্চা হয়েছে। যাকে আমরা উচ্চশিক্ষা বলি। সে উচ্চশিক্ষার নাম কোথাও একাডেমি, কোথাও জামিয়া ছিল, নানা রকম অর্থ ছিল।

অনেক ইতিহাসবিদ প্রচার করেছেন, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালিতে হিউম্যানিজমের জন্ম। নতুন নতুন গবেষকেরা, যেমন জর্জ মাকদিসি আশির দশকে দ্য রাইজ অব হিউম্যানিজম ইন ক্ল্যাসিক্যাল ইসলাম অ্যান্ড দ্য ক্রিশ্চিয়ান ওয়েস্ট নামে একটা বই লিখলেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, যে জিনিসকে হিউম্যানিজম বলা হয়, সেটা অষ্টম শতাব্দী থেকেই আরব দেশে চালু হয়েছে। তার মানে মানবিক বিজ্ঞানের ওপর কোনো বিশেষ জাতির একচেটিয়া অধিকার নেই। সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে এর উত্তরাধিকার ছড়িয়ে আছে। আমরা অনেক সময় জানি না তাই নতুন করে আবিষ্কার করি।

আরও পড়ুন

আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়াই, তা তো পড়াব। কিন্তু প্লেটোর কথা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় হবে এমন একটি জায়গা, যেখানে সমাজের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হবে। আমি দুটি দ্বন্দ্ব, সংঘাতের কথা বলি। আজকে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি প্রদানের অনুমতি দিলেন। শিক্ষকেরা আপনাদের যে শিক্ষায় শিক্ষিত করলেন, সেটার অনুমোদন করলেন। এখানে কর্তৃপক্ষ দুটো। সমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করবেন, আপনারা যেন আইনের বাইরে না যান, সীমা অতিক্রম না করেন। আর যে প্রশ্ন না করলে আপনার বিদ্যা সম্পন্ন হবে না, শিক্ষকেরা সেই প্রশ্ন করা শেখাবেন।

বিদ্যা শিক্ষা করার উদ্দেশ্য হলো নিজেকে পৃথিবীর সামনে মুক্ত মানুষ হিসেবে দাঁড় করানো। সর্বশেষ সংজ্ঞা কী? ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। পৃথিবীতে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে আপনি যদি কোনো খবরই না রাখেন এবং সমাজের ন্যায়, অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য সম্পর্কে অবিচার নিয়ে কিছু না বলেন, শুধু চাকরিলাভের জন্য দক্ষতা অর্জন করলে সেটা সম্পূর্ণ হয় না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা অবশ্যই দক্ষতা দান করি। কিন্তু প্লেটোর সময় থেকে একেবারে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আদি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কী সংজ্ঞা ছিল? একটা সংজ্ঞা বলি। আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে ইংল্যান্ডের পাদরি জন নিউম্যান আয়ারল্যান্ডে গিয়ে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। নাম ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন। তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত বইয়ে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো সেই জিনিস, যেখানে আমরা নির্মোহভাবে জ্ঞানের চর্চা করি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ
ছবি: আশরাফুল আলম

এখন আমরা বলছি, ইউনিভার্সিটি অব এক্সিলেন্স। অথচ আগে এই ধারণা দিয়েই ইউরোপের বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলেছে। সেখানে তাদের বিদ্যা শেখার কেন্দ্রে ছিল নির্মোহ শিক্ষা। যেটিকে প্রাচীনকালে বলা হতো ফিলোসফি। জ্ঞানের জন্য প্রেম। এই জ্ঞানের প্রেম দিয়ে আমরা কী করব? মানুষের কল্যাণ করব। শুধু নিজের নয়। নিজের কল্যাণের পরে নিজের দেশ ও সমাজের কল্যাণ এবং তারপরে পৃথিবীর কল্যাণ করব। এই ক্রমেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে বিন্যস্ত করেছি। কিন্তু সেই শিক্ষা এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে।

প্লেটো কেন শহর থেকে অনেক দূরে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েছিলেন? একটা কারণ হচ্ছে, সমাজের যে কোলাহল, যে হট্টগোল, এগুলো থেকে বাইরে গিয়ে চিন্তা করা। রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল প্রতিদিনই হয়। সে অনুসারে প্রতিদিন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার বিষয় বদলাতে হয়, কার নামে জিন্দাবাদ দেব, কার নামে মুর্দাবাদ দেব, সেটা যদি বদলাতে হয়; তাহলে নির্মোহ, বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ জ্ঞানচর্চা ব্যাহত হবে। এ জন্য ‘একাডেমিক ফ্রিডম’ দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই নির্ধারণ করবেন তাঁরা কী পড়াবেন, ছাত্ররাই নির্ধারণ করবেন যে শিক্ষকেরা তাঁদের কীভাবে পড়াবেন।

জজ মাকদিসির আরেকটি বইয়ের (দ্য রাইজ অব কলেজেস) সারকথা বলি। তিনি বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল নিরপেক্ষ জ্ঞানচর্চার জন্য। কোনো শাসকের তোষামোদ করার জন্য নয়। স্বাধীন চিন্তার বিকাশ ইতালি, ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড ঘুরে আমাদের দেশে এসেছে। আমাদের দেশে যখন বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে, তখন আমরা পরাধীন। আমাদের দেশে শিক্ষা ছিল পরাধীন দেশের লোকদের সরকারি চাকরি পাওয়ার একটা প্রধান মাধ্যম। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এই পূর্ব বাংলা ছিল মোটামুটি চাষাভুষা বা কৃষকসমাজ। পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা কলকাতায় গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চর্চা শুরু করতেন। কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৬০ বছর পর ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বলা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট বা পাবলিক হয় না। এটা হয় দশের সম্পত্তি। এ জন্যই ট্রাস্টি বোর্ড থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে আপনারা কেউ সচিবালয়ে কাজ করবেন, কেউ ব্যাংকে কাজ করবেন, কেউ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন, কেউ দেশের বাইরে যাবেন, কেউ বাসায় থাকবেন। এসব জায়গাতেই শেখা যায়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাটা একটু আলাদা। এখানে আমরা চার, পাঁচ, ছয় বা সাত বছর থাকি। এখানে আমরা শুধু শিখি না। সমাজকে কী করে ন্যায়, মুক্তির পথ, স্বাধীনতার পথে পরিচালিত করতে পারি, সেই শিক্ষাটাও আমরা নিই। এই জন্য আমাদের আইন আমাদেরই রচনা করার ক্ষমতা সমাজ দিয়েছে। এটা দরকার।

অন্যান্য স্কুল–কলেজ যেভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে, বিশ্ববিদ্যালয় চলে না কেন? কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় যে ন্যায়ের পথের সংগ্রামে জয়ী হতে পারে, সেটা আমরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তের মাধ্যমে দেখেছি। ঢাবির একমাত্র গৌরব ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশ নেওয়া। সেই কাহিনি আমরা বেশি একটা বলি না। প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাবিকে উদাহরণ হিসেবে ধরছি। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান এর আগেও হয়েছে। নারীশিক্ষার জন্য ১৮৭৩ সালে ঢাকার ইডেন মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা কলেজ হয়েছে ১৮৪১ সালে। কিন্তু ১৯২১ সালে ঢাবি ও পরে তার অনুকরণে পাকিস্তান আমলে ৫-৬টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়। এখন বেড়ে শ খানেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আপনারা এখন জিজ্ঞাসা করবেন, আমরা যে ঐতিহ্য থেকে জন্মেছি, সেই ঐতিহ্যের মান রক্ষা করতে পারছি না। তার চেয়ে ভালো করতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন আপনারা কর্মক্ষেত্রে বেরোবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা কখনোই ভুলতে পারবেন না। চিরকালই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য থাকবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যা দিয়েছে, তাকে শতগুণে জীবনে বহন করে নিয়ে গিয়ে বর্ধিত করাই আমাদের কর্তব্য।

গত ৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে অনেক জ্ঞানী, গুণী এবং প্রতিভাবান ছাত্রের সংস্পর্শে এসেছি। এটা শুধু পেশা নয়। তারও অধিক। আমরা শুধু চাকরি করার জন্য আসি না। আমাদের আরেকটা উচ্চাশা থাকে। আমরা যাদের তৈরি করছি, তারা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। সেটা ইতিমধ্যে হচ্ছে। এটা আমাদের বড় পুরস্কার।

আপনাদের অনুষ্ঠানকে বলা হচ্ছে ‘কনভোকেশন’। লাতিন থেকে আসা ‘কন’ শব্দের অর্থ একসঙ্গে। ‘ভোকেশন’ মানে ডাকা। যেটাকে আমরা বলি, আপনাকে জীবন ডাকছে। আমরা যারা উপাধি (ডিগ্রি) পেলাম, জীবন আমাদের ডাকছে দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য। আমি বলি, শিক্ষকদের ভোকেশন হচ্ছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা করার মধ্য দিয়ে তাঁরা শুধু চাকরি করেন না, তাঁরা ভবিষ্যৎ জীবনের নেতাদের নির্মাণ করেন। বেতন দিয়ে এ পুরস্কার হয় না। আশা করি, এআইইউবির নামের অর্থ যা–ই হোক না কেন, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।