পাসওয়ার্ড বদলে নেওয়ার দিন আজ

আজ ১ ফেব্রুয়ারি, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন দিবসছবি: পেক্সেলস

প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কী, যার গোপনীয়তার ওপর টিকে আছে ব্যক্তিজীবন থেকে বৈশ্বিক জীবনব্যবস্থার সামগ্রিক সুরক্ষা? উত্তরে নানা কিছু মাথায় এলেও জবাব কিন্তু একটিই। হ্যাঁ, পাসওয়ার্ড। পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত নয় মানে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের অস্তিত্বও ঝুঁকিপূর্ণ। একবার যাঁর পাসওয়ার্ড বেহাত হয়েছে, সেই এর গুরুত্ব টের পেয়েছেন ভালো করে। চুরি যাওয়া পাসওয়ার্ডে হাতিয়ে নেওয়া যায় ব্যাংকের মজুত। নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। একজন ব্যক্তির প্রেম, সম্পর্ক বা পারিবারিক জীবনকে যেমন চরম বিষাক্ত করে তুলতে পারে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড, তেমনি হুমকিতে পড়তে পারে তাঁর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা।

একজন ব্যক্তির জীবনকে চরম বিষাক্ত করে তুলতে পারে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড
ছবি: পেক্সেলস

ডিজিটাল শ্যাডোজ-এর ২০২২ সালের তথ্য বলছে, সে বছর ২৪ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের মাধ্যমে বেহাত হয়েছে। তথ্যটা কিছুটা পুরোনো। হালনাগাদ চিত্রটা ভাবুন। পাসওয়ার্ড চুরি যাওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তবে প্রধান কারণ ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড-সংক্রান্ত অসচেতনতা ও অজ্ঞতা। বিটওয়ার্ডেনের পরিসংখান বলছে, মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মাত্র অর্ধেক মানুষ পাসওয়ার্ড সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন। অর্থাৎ দুনিয়াজুড়ে অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব সম্পর্কে ভাবিতই নন। তাহলে বুঝুন। ১২৩৪৫৬, এবিসিডি, নিজের নাম, প্রিয়জনের নাম, জন্মদিন, বিশেষ তারিখ, কি-বোর্ডের লে-আউট প্রভৃতি দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন প্রচুর মানুষ। ৫৯ শতাংশ মানুষ সর্বত্র একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। পুরোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহারের প্রবণতাও অনেকের আছে। ফলে যা ঘটার তা-ই ঘটে। পাসওয়ার্ড সুরক্ষার অন্যতম প্রধান কৌশল হলো ঘন ঘন পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা।

আজ ১ ফেব্রুয়ারি, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন দিবস। ২০১২ সালে দিবসটি চালু করেন ম্যাট বুকানন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান লেখক। দু-দুবার পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার পর ভদ্রলোক এর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দিনটির প্রচলন করেন। দিনটি পালন করুন বা না করুন, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন আজ।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে

আরও পড়ুন