সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম ভালো নাকি মন্দ

অফিসে দুটি মানুষের মধ্যে প্রেম–বিয়ে বিরল নয়। কর্মস্থলে এমন সম্পর্কের কিছু ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি আছে কিছু নেতিবাচক প্রভাব। তাই এর ভালো–মন্দ দুটি দিকই কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানের জেনে রাখা ভালো। এসব জানা থাকলে অফিসে সম্পর্কটির ইতিবাচক প্রভাবগুলো থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব, আবার নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকা যায়।

অফিসে দুটি মানুষের মধ্যে প্রেম–বিয়ে বিরল নয়মডেল: আসিফ ও সামিয়া। ছবি: প্রথম আলো

ইতিবাচক দিক

চাকরি নিয়ে সন্তুষ্টি

সহকর্মীর সঙ্গে যাঁদের প্রেমের সম্পর্ক থাকে, তাঁরা নিজেদের চাকরি নিয়ে অন্যদের চেয়ে বেশি সন্তুষ্ট থাকেন। সম্পর্কটি ইতিবাচক এবং পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ হলে কাজের ক্ষেত্রে মনোবল বাড়ে, কাজটি আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

দলবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্যম বাড়ে

ইতিবাচক সম্পর্কের কারণে দলের মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতা বাড়ে। কাজের ক্ষেত্রে বজায় থাকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ।

আত্মন্নোয়নের সুযোগ

অফিসে প্রেমের সম্পর্ক থাকলে একজন সাধারণত নিজেকে আরও উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকেন। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের মধ্যে সীমারেখা টানতে আগের চেয়ে বেশি সক্ষম হন।

আরও পড়ুন

নেতিবাচক দিক

স্বার্থের দন্দ্ব

অফিসে প্রেমের সম্পর্ক থেকে অনেক সময় স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রেমিক বা প্রেমিকার ক্যারিয়ার এবং মূল্যায়নের (বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি ইত্যাদি) ওপর প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ থাকে, তাহলে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়।

গুজব সৃষ্টি

প্রেম তো আর গোপন থাকে না। তাই অফিসে প্রেমের সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের কানাঘুষা হয়, ডালপালা মেলে নানা গুজব। এতে অফিসে একজনের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে, তিনি আর আগের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে না-ও পারেন।

পেশাদার আচরণ বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ

কোনো সম্পর্কই সব সময় মধুর থাকে না। সম্পর্কে ঝড়ঝাপটা আসবেই। অফিসে প্রেমের সম্পর্কটি যদি কোনো টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে একজনের জন্য পেশাদার আচরণ বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রেই মুশকিল হয়ে ওঠে। অফিসে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে অনেকেই পেশাদারত্ব বজায় রাখতে পারেন না। কেউ কেউ অন্যায্যভাবেই সঙ্গীকে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা দেন।

আরও পড়ুন

বিচ্ছেদের ক্ষতিকর প্রভাবের ঝুঁকি

সম্পর্কটি ভেঙে গেলে দুজনেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। এতে কাজের ক্ষতি হয়। অফিসের স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হতে পারে। এমনকি দুজনের পক্ষে ভবিষ্যতে একসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আর কোনো কাজ করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

আইনগত এবং নীতিগত সমস্যা

কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে কিছু আইনগত এবং নীতিগত সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে যদি প্রেমিক যুগলের একজন আরেকজনের অধীনে কাজ করেন। যদি সেই প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় সহকর্মীদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ভঙ্গের কারণে চাকরি চলেও যেতে পারে।

সূত্র: সিএনবিসি