সুখী দাম্পত্যের ১০ ‘গোল্ডেন রুল’
অনেকের কাছে সুখী দাম্পত্য বিষয়টাই একটা মিথ। আবার যুগের পর যুগ দিব্যি সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন, এমন উদাহরণও নেহায়েত কম নয়। দাম্পত্য সম্পর্কের গ্রাফ এই ওপরে উঠবে, আবার নিচে নামবে—এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক, তবে একটা মাত্রার ভেতর। একটা স্বাস্থ্যকর দাম্পত্য সম্পর্কেও ঝগড়া, কথা–কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হবে। সেই ছন্দ আর ছন্দপতনেরও একটা ভারসাম্য থাকে। গবেষণা তো বলছে, মাঝেমধ্যে ঝগড়া হওয়াই বরং দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ভালো। প্রতিবার ঝগড়া মিটমাটের পর দুজনের বোঝাপড়া ও বন্ধন আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়। চট করে জেনে নেওয়া যাক, সুখী আর স্থিতিশীল দাম্পত্য সম্পর্কের ১০ ‘গোল্ডেন রুল’।
১. সম্পর্কে সৎ থাকতেই হবে। সম্পর্কে ৯৯ শতাংশ সৎ বলে কিছু হয় না। হয় আপনি শতভাগ সৎ অথবা অসৎ।
২. একজন রেগে গেলে অন্যজনকে তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখবেন, যখন দুজনে চিৎকার করে কথা বলেন, তখন কেউ কারও কথা শোনেন না। এ রকম পরিস্থিতিতে একজনের আরেকজনের প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকে না।
৩. ঝগড়া বা কথা–কাটাকাটির সময় কখনো পুরোনো কথা তুলবেন না। অতীতে কে কী করেছেন, কে কী বলেছেন, সেটা যদি বাদ দিতে না পারেন, তাহলে বর্তমানকেও উপভোগ করতে পারবেন না। সম্পর্কটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হবে।
৪. চরম মুহূর্তে কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কার কারণে সংকট বা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেদিকে ‘ফোকাস’ না করে কথা বলবেন সমাধানকে সামনে রেখে।
৫. দাম্পত্য সমস্যা সমাধান না করে ঘুমাতে যাবেন না। সমস্যা বড় হতে দেবেন না।
৬. সারা পৃথিবীকে উপেক্ষা করে দাম্পত্য সঙ্গীকে গুরুত্ব দিন।
৭. কাউকে যদি তর্কে জিততেই হয়, আপনার সঙ্গীকেই জিততে দিন। আপনি না হয় তর্কে হেরেই জীবনে জিতলেন।
৮. যে মুহূর্তে আপনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, নিজে থেকে গিয়ে সেটা স্বীকার করুন, সরি বলুন।
৯. দিনে অন্তত একবার সঙ্গীকে নিয়ে প্রশংসাসূচক কথা বলুন, ‘কমপ্লিমেন্ট’ দিন।
১০. নিজেদের দাম্পত্য সমস্যার কথা চার দেয়ালের ভেতরেই রাখুন। যত মানুষকে সমস্যার কথা বলতে যাবেন, সমস্যা ততই বড় আর জটিল আকার ধারণ করবে।
সূত্র: ম্যারেজ ডটকম