সঙ্গীর থেকে দূরে থাকলে এই ভুলগুলো করবেন না

কাছাকাছি থাকাটা সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। একই শহরে বা এলাকায় থাকা যুগলদের জন্য সম্পর্কের ছোটখাটো সমস্যা, মান-অভিমান ভাঙা সম্ভব হয় খুব সহজেই। কিন্তু ‘লং ডিস্ট্যান্স রিলেশনশিপ’-এ সেটা সহসাই সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে এ রকম সম্পর্কে কিছু সতর্কতা ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়; তবেই পছন্দের মানুষ দূরে থাকলেও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় একটি সুন্দর সম্পর্ক।

নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেবেন না

আশপাশের লোকজনের কথায় হোক কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখেই হোক, কখনো মনে নেতিবাচক চিন্তাকে স্থান দেবেন না। দুজন দুজন থেকে দূরে থাকলে সম্পর্কে বোঝাপড়ার কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। এতে মাথায় নেতিবাচক চিন্তা আসাও স্বাভাবিক। কিন্তু সেসব কথায় কান দিয়ে নিজের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করার কোনো অর্থই হয় না। মনের মিল থাকলে এই দূরত্ব সামান্য ব্যাপার।

মনের মিল থাকলে এই দূরত্ব সামান্য ব্যাপার
ছবি: পেক্সেলসডটকম

ভার্চ্যুয়ালি বিরক্ত করবেন না

সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাছে–দূরে থাকা এখন তেমন কোনো বিষয়ই নয়। ভার্চ্যুয়াল জগতে চাইলে চোখের পলক ফেলার আগেই সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করা যায়। তবে তারও একটা সীমা রয়েছে। আপনার পাঠানো ম্যাসেজ কিংবা ভিডিও কল তাৎক্ষণিক ধরতে নাও পারেন। এমন পরিস্থিতিতে মাথা গরম করা চলবে না। বরং দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থা, ব্যস্ততা বুঝতে চেষ্টা করুন। এতে মনে নেতিবাচক চিন্তা বাসা বাঁধবে না, সম্পর্কও ভালো থাকবে।

সঙ্গীর জন্য আলাদা সময় রাখুন

কাছাকাছি থাকলে দেখা যেত, প্রতিদিন বা সপ্তাহে একবার দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু দুজন কাছাকাছি নেই, তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিনই সঙ্গীর জন্য নির্দিষ্ট করে কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে। ভিডিও কিংবা অডিও কল করে হলেও চেষ্টা করুন দুজনের কাছাকাছি থাকার।

ভিডিও কিংবা অডিও কল করে হলেও চেষ্টা করুন দুজনের কাছাকাছি থাকার
ছবি: পেক্সেলসডটকম

বেশি দিন দেখা না করে থাকবেন না

যদি সম্ভব হয়, তবে অন্তত তিন মাসে একবার দেখা করার চেষ্টা করুন। হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু তা–ও এমনভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন, যাতে প্রতি তিন মাসে একবার আপনাদের দেখা করা সম্ভব হয়। মনে রাখবেন, এটা সব সময় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ভরসা ও পরিকল্পনা রাখুন, যাতে সে সময়ের আশপাশে দুজন দুজনকে কাছে পেতে পারেন।

মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না

যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি জরুরি পরস্পরের প্রতি সৎ থাকা। পরস্পরকে সম্মান ও বিশ্বাস করা। যত বাজে অবস্থাই আসুক না কেন, যা–ই ঘটুক না কেন, সঙ্গীর প্রতি সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করবেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হয়তো এখন পার পেয়ে যেতে পারেন, কিন্তু আস্তে আস্তে এই ছোট ছোট মিথ্যাই পরিণত হতে পারে বড় কিছুতে। তাই পরস্পরের প্রতি যতটা সম্ভব সৎ থাকুন।

তথ্যসূত্র: মিডিয়াম