শীতে কমলালেবুর জ্যাম বানান বাড়িতেই
শীত আসি আসি করছে বাংলাদেশে। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন ফল কমলালেবু। বিদেশি কমলালেবু তো পাওয়া যাচ্ছেই, সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে দেশিও কমলাও। পঞ্চগড় ও সিলেট থেকে আসা সেসব কমলা স্বাদে আর পুষ্টিগুণে মোটেই পিছিয়ে নেই বিদেশি কমলার কাছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশে এটি জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হয়ে উঠছে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলায় বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম এবং এর পাতলা ত্বকে আঁশ রয়েছে।
আমার আজকের রেসিপি এই কমলালেবুর জ্যাম।
ভীষণ সুস্বাদু এই জ্যাম। কোনো রকম কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ ছাড়াই সহজে এটি বানিয়ে নেওয়া যায়। কমলার এই জ্যাম মাল্টা দিয়েও করা যায়। বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই জ্যাম। চমকে দিন প্রিয়জনকে!
উপকরণ
১. কমলার রস ১ লিটার
২. লেবুর রস ১-২ চা-চামচ
৩. চিনি ইচ্ছানুযায়ী (যে যেমন মিষ্টি পছন্দ করেন)
প্রণালি
প্রথমে কমলার কোয়া থেকে বিচি বের করে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ছোট ছিদ্রওয়ালা চালুনি দিয়ে চেলে রস বের করে নিতে হবে।
চুলায় একটি ননস্টিক পাত্রে কমলার রস দিয়ে মধ্যম আঁচে জ্বাল দিতে হবে। রস কমে আসতে থাকলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে, না হলে পোড়া লেগে যাবে। এবার আলতো হাতে নাড়তে হবে। রস ঘন হয়ে এলে একটু চেখে এক চামচ লেবুর রস এবং ইচ্ছানুযায়ী চিনি মেশাতে হবে। প্রয়োজনে আরও লেবুর রস ও চিনি মেশাতে হবে। বারবার নাড়াতে হবে যেন নিচে লেগে না যায়। ঘন হয়ে এলে ভালো করে নাড়িয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। আগে থেকেই শুকনো একটি কাচের বয়াম একটি পাত্রে ঠান্ডা পানিতে বসিয়ে রাখতে হবে। এখন সেই বয়ামে ঘন মিশ্রণটি আস্তে আস্তে ঢালতে হবে।
বয়ামটি ঠান্ডা হয়ে এলে মুখ আটকিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এক ঘণ্টা পরেই দেখুন কী সুন্দর জ্যাম তৈরি হয়ে গেল। নিজেই নিজের গুণে মুগ্ধ হয়ে যাবেন কথা দিলাম! এই জ্যাম ফ্রিজে রেখে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যাবে।