মাখন ভেবে মার্জারিন খাচ্ছেন না তো?

বাটার ভেবে অনেকে মার্জারিন কিনে আনেনছবি: পেক্সেলস

বিভিন্ন খাবারে বাটার বা মাখন মেখে খেতে আমরা কমবেশি অনেকেই পছন্দ করি। স্বাস্থ্যসচতেন অনেকে তেলের বদলে খাবারে মাখন ব্যবহার করেন। কিন্তু বাজারে কিনতে গেলে অনেক সময় দেখা যায় নানা দামের মাখন। কেউ কেউ আবার মাখনের পরিবর্তে কম দামে হুবহু দেখতে একই ধরনের অন্য একটি উপকরণ কেনেন না বুঝে। এই খাবারের উপকরণ মাখনের চেয়ে ভিন্ন এবং এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। মার্জারিন নামে পরিচিত এই খাবার উপকরণ দেখতে মাখনের মতোই। চলুন জেনে নিই কীভাবে মার্জারিন থেকে মাখনকে আলাদা করবেন।

  • মাখন তৈরি হয় দুধ বা ক্রিম থেকে, যেখানে মার্জারিন তৈরি হয় উদ্ভিদ অথবা পশুর চর্বি থেকে।

  • মার্জারিনের চেয়ে মাখন বেশি
    সুবাসসমৃদ্ধ।

  • মাখন মুখে দিলে সুস্বাদু লাগে, যা মুখের মধ্যে মিলিয়ে গিয়ে একটা ভালো অনুভূতি জাগায়। কিন্তু মার্জারিন বেশি চর্বিযুক্ত হওয়ার কারণে স্বাদ ভালো হয় না। খাবারে বা মুখে লেগে থাকে।

  • মাখন সাধারণত হালকা হলুদ রঙের হয়। তবে প্রাণীর খাদ্যের ওপর নির্ভর করে সাদা থেকে গাঢ় হলুদ পর্যন্ত হতে পারে। মার্জারিনে একই ভাব আনতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। মার্জারিনের প্রকৃত রং সাদা।

  • মাখন প্রায় ৯৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গলে যায় এবং সহজেই পুড়ে যায়। মার্জারিন গলাতে চাইলে কিছুটা বেশি তাপমাত্রার দরকার পড়ে।

  • একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে এক চামচ মাখন ফেলে দিন। এবার ওই পাত্রে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন মেশান। যদি দেখেন মাখনের রং বদলে বেগুনি হয়েছে, তাহলে বুঝবেন, ওই মাখনে স্টার্চ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। রং যদি না বদলায়, তাহলে বুঝবেন সেই মাখন খাঁটি।

 মার্জারিনের কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনে নিন

বাটার দেখতে কিছুটা হলদে হয়
ছবি: পেক্সেলস

দুধ থেকে মাখন তৈরি হয় আর মার্জারিন হচ্ছে কেমিক্যালমিশ্রিত ভেজিটেবল অয়েল। মার্জারিন দেখতে ঠিক মাখনের মতোই। সাধারণত মার্জারিন ভোজ্যতেল থেকে উৎপন্ন করা হয়।

ভোজ্যতেলকে যখন বিশেষ রাসায়নিক উপায়ে জমাট করা হয়, তখন এটি ট্রান্স-ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। এই ট্রান্স-ফ্যাট রক্তে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ায় এবং একই সঙ্গে ডায়াবেটিস, স্থূলতা ইত্যাদির ঝুঁকি তৈরি করে। সেই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোকসহ বহুবিধ রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। রান্না করার সময় মার্জারিনও একধরনের স্বাদ যোগ করে, পাশাপাশি একটি বাটারের থেকে কম দামে পাওয়া যায়। তবে মার্জারিন নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিতে হবে। অনেক সময় কেকে বাটার ক্রিমের বদলে মার্জারিন ব্যবহার করা হয়, যা নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।

আরও পড়ুন