২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রেসিপি দেখে বাড়িতেই বানান মজাদার ছানার সন্দেশ ও কমলাভোগ

ছানা, গুড়, দুধ সব উপকরণ তো হাতের কাছেই আছে। মিষ্টি কিনে আনতে হবে কেন তাহলে? দেখে নিন ছানার সন্দেশ ও কমলাভোগের রেসিপি

ছানার সন্দেশ

ছানার সন্দেশ
ছবি: প্রথম আলো

উপকরণ: ছানা ৪ কাপ, ক্রিম ১৭০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ মাওয়া (গ্রেটেড) দেড় কাপ, এলাচ গুঁড়া দেড় চা-চামচ, মাখন ১ টেবিল চামচ।


প্রণালি: ছানা তিন ভাগের দুই ভাগ চুলায় দিয়ে মাঝারি আঁচে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে রান্না করুন। চিনি ও ছানা মিশে গেলে বাকি এক ভাগ ছানা দিয়ে নাড়ুন। এবার পানি টেনে ছানা চিনিতে মিশে পাক ধরলে ক্রিম ও মাওয়া মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে নিন।
ট্রেনে মাখন ব্রাশ করে ছানা ঢেলে খুন্তি দিয়ে চেপে সমান করুন। ঠান্ডা হলে ফ্রিজে ৪-৫ ঘণ্টা রাখুন। এবারে স্কয়ার বা বরফির আকারে কেটে ওপরে পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কমলাভোগ

কমলাভোগ
ছবি: প্রথম আলো

উপকরণ

মিষ্টির জন্য: দুধ (স্কিম মিল্ক বা ফ্যাট ফ্রি হলে ভালো হয়) ২ লিটার, কমলার রস ২ কাপ, সিরকার ও পানির মিশ্রণ ১ কাপ (প্রয়োজন হলে), জাফরান প্রয়োজন অনুযায়ী, বেকিং পাউডার আধা টেবিল চামচ, আইসিং সুগার ২ টেবিল চামচ, সুজি ১ টেবিল চামচ, অরেঞ্জ এসেন্স ২ ফোঁটা (না দিলেও চলবে), জাফরানি রং সোয়া চা-চামচ, লবঙ্গ (প্রতিটি মিষ্টির জন্য) ১টি করে। শিরার জন্য: চিনি ৩ কাপ, পানি ৫ কাপ, এলাচ গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি: ৪ কাপ পানির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে এলে আরও ১ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিন। শিরার ঘনত্ব বুঝে চুলা বন্ধ করে দিন। একটি প্যান বা হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিন। কয়েকবার ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন। দুধের হাঁড়ি আর নাড়াবেন না। পুরু সর পড়লে তা সাবধানে দুধ থেকে উঠিয়ে ফেলুন। পুনরায় মাঝারি আঁচে দুধ জ্বাল দিন। একবার ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে অল্প অল্প করে কমলার রস দিন। দুধে দই বা ছানা ভাব এলে বুঝবেন সিরকার মিশ্রণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ছানা দুধ থেকে আলাদা না হলে সিরকা দিতে হবে এবং দুধ ও ছানার পানি আলাদা হয়ে গেলে ঝাঝরিতে ছেঁকে নিতে হবে। সুতি বা মসলিন কাপড়ে ছানা নিয়ে গিঁট মেরে ঝুলিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন ছানা যেন বেশি শক্ত হয়ে না যায়।

এবারে একটি ট্রেতে ছানা নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মথে মসৃণ করে নিন। ছানার মধ্যে একটা ভেজা ভেজা ভাব থাকবে। আরও মসৃণ করতে চাইলে একটু ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তারপর এটি ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব মনে হলে দুই-এক চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মথে নিন। এই ডো থেকে ছোট ছোট গোলা তৈরি করুন। গোল আকৃতির মিষ্টি তৈরি করে তার মাঝখানে আঙুল চেপে একটু ছোট গর্তের মত তৈরি করুন। প্রতিটি মিষ্টির গর্তে একটি করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। কয়েকটি পেস্তা কুচি লবঙ্গের চারপাশে দিয়ে ফুলের মতো তৈরি করুন। মিষ্টির চারপাশে একটু একটু করে জাফরানের রেণু ছিটিয়ে দিন। সাবধানে সাজাতে হবে যেন ফেটে না যায়। এবার কিচেন টাওয়েল দিয়ে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন।

কমলাভোগ
ছবি: প্রথম আলো

চিনির শিরায় এলাচ গুঁড়া দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে এই শিরাতে একটি একটি করে কমলাভোগ ছেড়ে দিন। কড়াই বা হাঁড়ি আলতোভাবে এ পাশে ওপাশে ঘুরিয়ে ভারী ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে কড়া আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। আরও ৫-১০ মিনিট জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার ঢাকনা খুলে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।