ওজন কমানোর সময় খাবার দেখলেই যখন খেতে মন চায়

বাদাম খেলে পেট ভরা একটা অনুভূতি কাজ করে।
ছবি: প্রথম আলো

যে কাজটি করা উচিত নয়, সেটিই বেশি করতে ইচ্ছা করে। খাবার যখন বুঝেশুনে কম খাওয়া উচিত, তখনই যেন বেশি খেতে মন চায়। কিন্তু ওজন কমানোর সময় এই নিয়ম মানতেই হবে। যে খাবার আপনার তালিকায় নেই, সেটি খেতে ইচ্ছা করলে মনকে ঘুরিয়ে নিতে হবে। যে কাজ করলে মন ভালো থাকবে, সেটা করতে লেগে যান অথবা যে কাজ করতে ইচ্ছা করে না, সেটাই মন দিয়ে করার চেষ্টা করুন।

পানি খান

যখন আপনার খাবার কথা নয়, তখন খিদে পেলে পানি খান। পানি খুব দ্রুত পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আপনার খিদে কিছুটা হলেও কমে যাবে। একটু পরপর পানিতে চুমুক দিন এবং সারা দিন হাইড্রেটেড থাকুন। এ সময় লেবু, গোলমরিচ বা গরম আদা চা–ও পান করতে পারেন। গোলমরিচ খিদে দমন করতে সহায়তা করে। আদা বহু শতাব্দী ধরে হজমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ডার্ক চকলেট

এক টুকরা ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকলেটের তিক্ত স্বাদ শরীরকে খিদে কমানোর ইঙ্গিত দেয়। কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ ১ থেকে ২ টুকরা ডার্ক চকলেট খেতে পারেন খিদে লাগলে।

স্বাস্থ্যকর খাবার

খুব বেশি খিদে লাগলে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। স্ন্যাকস খেতে পারেন। বাদাম বা অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। বাদাম খেলে পেট ভরা একটা অনুভূতি কাজ করে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে সব বাদাম আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে না। এ ক্ষেত্রে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নিলে ভালো।

শখের কাজ করুন

ছবি আঁকা, বই পড়া, ছবি দেখা বা কিছুক্ষণের জন্য ঘুরতে বের হওয়ার মতো কাজগুলো করুন। মন কিছুক্ষণের জন্য খাবার থেকে সরে যাবে।

সামাজিকীকরণ

আশপাশে কোনো বন্ধু থাকলে তার সঙ্গে দেখা করুন। একসঙ্গে বেড়াতে যান বা সময় কাটিয়ে দিন গল্প করে। কাছে না পেলে ভিডিও কলেই নাহয় কথা বলা শুরু করে দিন।

শনাক্ত করুন

যে কারণগুলোতে আপনার খিদে পায়, সেগুলো খুঁজে বের করুন। সাধারণত যে বিষয়গুলো খিদে বাড়িয়ে দেয় বা এমনিতেই খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো হলো:

  • চাপ

  • একঘেয়েমি

  • মন খারাপ হওয়া

  • অন্য লোকদের খেতে দেখা

  • সুস্বাদু খাবারের আশপাশে থাকা

  • পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খাবার বিষয়ে কথা বলা

  • খাবারের বিজ্ঞাপন দেখা

  • কোন বিষয়টি আপনার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিচ্ছে, খুঁজে বের করুন। বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করুন।

ঘুমান

দিনে আট ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। ঘুম কম হলে খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। পাশাপাশি রাত জাগলে একটু পরপর খেতে ইচ্ছা করে।

খাবার লুকিয়ে রাখুন

যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়, সেগুলো বাড়িতে না আনাই ভালো। আর যদি কোনো কারণে আনতেই হয়, সেগুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে দিনের শেষ খাবারটি খান। বাড়ির অন্যদের মিষ্টিজাতীয় খাবার এমন জায়গায় রাখতে বলুন, যেন আপনার চোখে সহজে ধরা না পড়ে।

সূত্র: হেলথ লাইন, উইকিহু