এই ১০ খাবার বেশি কিনে ভুল করছেন না তো

কে চায় বারবার বাজারে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে! ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সেই সময়ই–বা কোথায়!

টমেটো, মরিচ বা শর্ষেসহ প্রায় সব ধরনের সস সময়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যগুণ হারায়
ছবি: প্রথম আলো

অনেকে একবারে মাসের বাজার করে রাখেন। চাল, চিনি, তেল, আটা—এ রকম নানা জিনিস যথেষ্ট পরিমাণে কিনে লম্বা সময়ের জন্য মজুত রাখেন। তবে কিছু কিছু খাবার আপনি লম্বা সময়ের জন্য কিনে সংরক্ষণ করতে পারবেন না। এসব খাবার যত টাটকা খাওয়া যায়, ততই ভালো। এমনই ১০ খাবারের কথা জেনে নেওয়া যাক।

১. টমেটো সস
হয়তো ছাড় দেখে কিনেছিলেন। তবে টমেটো, মরিচ বা শর্ষেসহ প্রায় সব ধরনের সস সময়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যগুণ হারায়। ফ্রিজে রেখেও খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না।

 
২. মাংস
যেকোনো মাংস লম্বা সময়ের জন্য ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ কমতে থাকে। সেরা স্বাদ ও পুষ্টির জন্য টাটকা কিনে ফ্রিজে না রেখে রান্না করে খান।


৩. কলা
একবারে অনেক কলা কিনবেন না। কেননা লম্বা সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব।

জ্যাম ও জেলি অনেকে বাইরে রেখে খান। তবে একবার মুখ খোলার পর ফ্রিজে রেখে খেলে তবেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগপর্যন্ত খেতে পারবেন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৪. চকলেট সিরাপ বা ম্যাপল সিরাপ

অল্পদিনেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। খুব বেশি দিন ভালো থাকে না।

৫. জ্যাম ও জেলি

অনেকে বাইরে রেখে খান। তবে একবার মুখ খোলার পর ফ্রিজে রেখে খেলে তবেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগপর্যন্ত খেতে পারবেন। নতুবা সময়ের আগেই নষ্ট হয়ে যাবে।

৬. পিনাট বাটার

পিনাট বাটারটি যদি ‘অর্গানিক’ হয়, তাহলে কিছুদিনের ভেতরেই বাটার থেকে তেল আলাদা হয়ে যাবে। যদি না যায়, বুঝবেন, সেখানে উচ্চমাত্রার প্রিজারভেটিভ মেশানো, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অন্যান্য চিজ বা বাটারও খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করে খাওয়া ঠিক না।

৭. টাটকা শাকসবজি

সাধারণত ফ্রিজে না রেখেই খাওয়া হয়। অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় না। তাই যেটুকু খাবেন, সেটুকুই কিনবেন।

আরও পড়ুন
বাদাম ও শুননা ফল লম্বা সময়ের জন্য ভালো থাকে না। স্বাদ ও পুষ্টিমান হারাতে থাকে
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৮. নারকেল তেল

অধিক পরিমাণে নারকেলের তেল কিনলে তা সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজে রাখুন। কেননা অর্গানিক নারকেলের তেল কক্ষ তাপমাত্রায় কিছুদিন পরেই নষ্ট হতে থাকে।

৯. শুকনা বাদাম ও ফল

লম্বা সময়ের জন্য ভালো থাকে না। স্বাদ ও পুষ্টিমান হারাতে থাকে।

১০. জুস

একবার বোতল খোলার পরেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। তারপরও খুব বেশি দিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে না।

খেয়াল করুন

  • কোনো খাবারের প্যাকেট একবার মুখ খোলার পর তা ভালোভাবে মুখ আটকে সংরক্ষণ করতে হবে। নতুবা তেলাপোকা ঢুকতে পারে বা বাতাস ঢুকে সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

  • প্রতি মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস রান্নাঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন।

  • পরিষ্কার করার বিভিন্ন রাসায়নিক পারতপক্ষে রান্নাঘরে রাখবেন না। অল্প পরিমাণে খাবারের সঙ্গে মিশেও বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।


সূত্র:  রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুন