ছত্রিশে পা দিয়েও কীভাবে এতটা ফিট বিরাট কোহলি
বিরাট কোহলি যে আজ ছত্রিশে পা দিলেন, দেখে বোঝার উপায় আছে? কেবল ভারত নয়, পুরো ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার মাঠে ও মাঠের বাইরে সর্বদা ফিট। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাঁর পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ এখন একদিনের ক্রিকেট আর টেস্টে। কানাঘুষা আছে, আগামী মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কও হচ্ছেন।
তবে ব্যাট হাতে কোহলির ফর্ম অবশ্য খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এক বছরের কাছাকাছি সময় নেই কোনো সেঞ্চুরি। যখনই সবার মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, কোহলির দিন কি শেষ, তখনই সব ক্লান্তি ঝেড়ে নেটে দ্বিগুণ ঘাম ঝরাতে শুরু করেছেন। ৩৬ বছর বয়সে অ্যাথলেটরা যখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তখন কোহলি দ্বিগুণ উৎসাহে ফিরে আসার মনোভাব পান কোথা থেকে? এই ফিটনেসের রহস্য কী?
ফিটনেস মানে শুধু জিম নয়, খাবারও
নিজেকে ফিট রাখার জন্য অনেকেই ভর্তি হন জিমে। শরীরকে ঠিকঠাক শেপে নিয়ে আসতে জিম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করে কেবল জিমে গেলে কি চলে? এককথায় অসম্ভব। ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের রুটিন নিয়ে কথা বলেছিলেন কোহলি, ‘জিমে গিয়ে নিয়ম মেনে যে কেউ শরীর বানাতে পারে। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। খাবারের ভালো লাগা, স্বাদ, পছন্দ একেকজনের একেক রকম। এটা সম্পূর্ণ টেস্টবাডের সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরকে ফিট রাখতে হলে শুধু নিজের পছন্দ নয়, শরীরের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ, সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’
একই নিয়ম প্রতিদিন
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে বেশ সচেতন কোহলি। ফিটনেস ধরে রাখতে একই ব্র্যান্ডের পানি পান করেন তিনি। নিজের প্রিয় খাবারও বাদ দিয়েছেন খাদ্যতালিকা থেকে। কোহলি এখন পুরোপুরি নিরামিষভোজী এবং এর সঙ্গে শরীরকে মানিয়েও নিয়েছেন। তাঁর কথা, ‘শরীরের জন্য কোনটা ভালো, কোনটা কাজ করছে, এটা শুরুতেই শনাক্ত করে ফেলা জরুরি। একবার তা বুঝে গেলে শরীর সহজেই সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। আমি আগামী ছয় মাস একই ডায়েট অনুসরণ করতে পারব। অন্য কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার শরীর এই খাবারের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে।’
৯০ শতাংশ খাবারই সেদ্ধ করা
কোহলি বলেন, ‘এখন আমার খাদ্যতালিকার ৯০ শতাংশ খাবারই ভাপা ও সেদ্ধ করা। কোনো প্রকার মসলা থাকে না সেসব খাবারে। লবণ, মরিচ, লেবু দিয়েই রান্না করা হয় আমার খাবার। স্বাদের ব্যাপারে আমার তেমন একটা বাছাবাছি নেই। সালাদই বেশি পছন্দ।’ তাই বলে যে এক–আধটু নিয়ম ভাঙেন না, তা কিন্তু নয়। ছোলা বাটোরা তাঁর বেশ পছন্দ। সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, ‘কোনো প্রকার ঝোলজাতীয় খাবার খাই না আমি। বরং ডাল আমার পছন্দ। রাজমা আর কালো মটর বেশ পছন্দ করি। আমার সবচেয়ে পছন্দ ছোলা বাটোরা, কিন্তু সেটাও নিয়ম মেনে খাই।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস