মানুষকে প্রভাবিত করার এই ৫ আশ্চর্য উপায়ের কথা জানেন?

কখনো খেয়াল করেছেন, কিছু মানুষ খুব সহজেই নিজের পক্ষে কথা বলার বা কাজ করার লোক পেয়ে যান? বন্ধুকে যেকোনো প্রস্তাবে রাজি করানো, তর্কে জেতা, প্রথম দেখায় মুগ্ধ করে দেওয়া বা ব্যবসায়িক চুক্তিতে জিতে ফেরা তাঁদের বাঁ হাতের খেল। জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচ উপায়ের কথা, যার মাধ্যমে আপনিও সহজে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

নিজেকে অপর পক্ষের সামনে নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে হলে যে বিষয়ে কথা বলবেন, সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে যানছবি: প্রথম আলো

১. যে বিষয়ে কথা বলবেন, সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে যান

মনে রাখবেন, নিজেকে অপর পক্ষের সামনে নেতা হিসেবে উপস্থাপন করার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য যে বিষয়ে আপনি কথা বলবেন, সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে যান। অন্তত অপর পক্ষের চেয়ে বেশি জানুন। যাতে জ্ঞানের দিক থেকে আপনি এগিয়ে থাকেন। এবার নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করুন। যুক্তিতর্ক দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর দিন। দেখবেন, সহজেই অপর পক্ষ আপনার কথা মেনে নিচ্ছে। আপনার প্রস্তাবে ‘সহমত ভাই’ হওয়া তখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

আরও পড়ুন

২. ‘জরুরি অবস্থা’ তৈরি করুন

যখন আপনি অপর পক্ষকে তাড়া দেবেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিতে সময় কম নেবেন। আর তখন তিনি আপনার যুক্তিই শুনবেন। আপনার চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত সহজেই তার পক্ষে গ্রহণ করা সহজ হবে। এই যেমন ‘এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই অফার’, ‘এটাই শেষ পিস, এমন সংগ্রহ আর নেই’, ‘আর মাত্র ২ বার। খেয়ে নাও, বাবু। এটাই শেষ’ বা ‘এটুকু করে দিলেই আজকের মতো ছুটি’—এভাবে বললে অপর পক্ষ আপনার সিদ্ধান্ত মেনে নেয় সহজে।

৩. মিরর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

আপনার সামনের মানুষটা যদি আপনার ভেতরে নিজেকেই খুঁজে পান, তবে আপনার কথা শোনা, মানা তাঁর জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। যেমন কেউ হয়তো চেয়ারে পা তুলে কথা বলছেন। আপনিও যদি চেয়ারে পা উঠিয়ে নেন, তাহলে তিনি আপনাকে বন্ধু বা তাঁর নিজের মতোই একজন ধরে নেবেন। এভাবে শরীরী ভাষার ভেতর দিয়ে একটা যোগাযোগ তৈরি করুন।

আরও পড়ুন

৪. আবেগপূর্ণ সমর্থন

শরীরী ভাষার মতোই আবার ধরুন, সামনের মানুষটার মন খারাপ। এমন সময় আপনি তাঁকে নিজের মন খারাপের কথা বললেন। তখন তিনিও আপনাকে নিজের মতো একজন বা বন্ধু মনে করবেন। আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। কাউকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর আবেগপূর্ণ মুহূর্তে সমর্থন দেওয়া জরুরি। আবার একই ঘটনা বা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিলেও বেশ কাজে দেবে। অপর পক্ষ আপনাকে আপনজন ভাববে। এটা আপনাদের দুজনের মধ্যে শক্তিশালী একটা বন্ধন তৈরি করে।

৫. একটু হাসি, মিষ্টি কথা

বিশ্বাস করুন, দেখা হলেই একটা মিষ্টি হাসি, ‘কেমন আছেন?’, ‘পারফিউমটা তো দারুণ, কোন ব্র্যান্ডের?’—এমন ছোট ছোট বিষয়ই যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে। এর বাইরে কাজের প্রশংসা করলে সহকর্মী বা যে কারও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আপনি যদি আপনার কর্মীকে বলেন, ‘আপনি আশপাশে থাকলে আমার আর কোনো চিন্তা থাকে না’, ‘আমি জানি, কেউ পারলে আপনিই পারবেন’—ব্যস, এটুকুতেই তিনি নিজের সর্বোচ্চ ঢেলে দেবেন কাজটা সফলভাবে করার জন্য।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন