ছয় বছর পর ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন তৌসিফ
ছোটবেলার ঈদ মানেই নতুন পোশাক। আর এই পোশাক ঘিরে একেকজনের একেক রকম আবেগ। তারকারাও এর বাইরে না। ঈদের পোশাক নিয়ে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব জানালেন তেমন একটি স্মৃতি
তৌসিফ মাহবুব তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ধানমন্ডির একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে একদিন হেঁটে যাচ্ছেন, এমন সময় দোকানের একটি পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে গেল। বাসায় গিয়ে বাবাকে বললেন, ঈদে এই পাঞ্জাবিটাই তাঁর লাগবে। পাঞ্জাবি দেখে বাবার এক কথা, ‘তুমি ছোট, তোমার সঙ্গে এমন পাঞ্জাবি যায় না।’
পছন্দের পাঞ্জাবিটা না পেয়ে সেই ঈদে তাঁর মনটা খারাপ ছিল।
ছয় বছর পরের ঘটনা। সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন এই অভিনেতা। নিজে চলার জন্য টিউশনি করেন। এবারও ঈদের সময় হঠাৎ একই দোকানে দেখেন সেই একই পাঞ্জাবি। এভাবেই নিজের পছন্দে মেটান ছয় বছর আগের সেই শখ। তৌসিফ বলেন, ‘সেই পাঞ্জাবিটা কিনতে পেরে সেবার মনে হয়েছিল, একটা কিছু জয় করেছি। দেরি করে হলেও শখটা পূরণ হয়েছে বলে খুব ভালো লাগছিল। এটাই আমার কাছে সেরা ঈদ উপহার। সেই পাঞ্জাবি পরেই পুরো ঈদের দিন কাটাই। বন্ধুরাও আমাকে নিয়ে সেবার হাসাহাসি করেছিল।’
পাঞ্জাবিটার ডিটেইল এখনো তাঁর মনে আছে, ‘গলাটি ছিল ভি শেপ। রংটা একটু ফ্যাকাশে। নকশায় একটু হিপহপ ভাব। টানা তিন দিন বন্ধুরা এই পাঞ্জাবি নিয়ে আমাকে টিটকারি মেরেছিল। বন্ধুদের ওপর রাগ করে তিন দিন পাঞ্জাবিটি পরেছিলাম।’ তৌসিফ বলেন, ‘পাঞ্জাবিটার নকশা তত দিনে পুরোনো হয়ে গেছে। সেবার ট্রেন্ডে এ ধরনের পাঞ্জাবি না থাকায় দেখতে হয়তো হাস্যকর লাগছিল। সেই পাঞ্জাবি আমি এখনো রেখে দিয়েছি। এখন যদি সেটা গায়ে দিই, তাহলে কিন্তু মানাবে। কিন্তু তখন সময়ের সঙ্গে যায়নি বলে সবাই হাসাহাসি করেছে। মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু আমি যে শখ পূরণ করেছি, সেটাই ছিল আসল কথা। শখের দাম লাখ টাকা। ঈদ এলে এখনো সেই পাঞ্জাবির কথা মনে পড়ে।’
লেখাটি বর্ণিল ঈদ ২০২৪ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত