এ বছর যাঁরা বিয়ে করবেন ভাবছেন, জেনে নিন...
২০২৩ কি আপনার বিয়ের বছর? সংখ্যাটা কি আজীবন আপনার জন্য ‘বিশেষ কিছু’ হয়ে থাকবে? কে জানে! হয়তো বিয়ের কোনো পরিকল্পনাই আপনার মাথায় নেই। কিন্তু বছর শেষে পেছনে তাকিয়ে ভাববেন, কী হতে কী হয়ে গেল!
তবে পরিকল্পনা যদি থেকে থাকে, তাহলে একটা বিশেষ দিন-তারিখ ধার্য করে রাখতে পারেন এখনই। এ বছর বিশেষ দিন কোনগুলো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
শীত না বসন্ত
অনেকেই বিয়ের জন্য শীতের মৌসুমটা পছন্দ করেন। প্রথাগত ভাবনাকে পাশ কাটিয়ে অন্য কিছু ভাববেন কি? ফেব্রুয়ারির কথা ভেবে দেখা যাক। মাঘের শেষ ভাগে শুরু হয় ফেব্রুয়ারি। বসন্ত সমাগত। কচি পাতায় স্বপ্নের বুনন। এই সময়টায় হতে পারে আপনার জীবনের বর্ণিল সূচনা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বসন্তের শুরু। ফুল আর রঙের বাহার। এমন একটা দিনেও বিয়ে করতে পারেন। যেমন পয়লা ফাল্গুন বা ভালোবাসা দিবস।
চাঁদনি রাত
পূর্ণিমার দিন দেখে বিয়ের তারিখ ধার্য করতে পারেন। আবার এমনভাবেও বিয়ের তারিখ ঠিক করতে পারেন, যেন মধুচন্দ্রিমাটা কাটে পূর্ণিমায়।
পূর্ণিমার দেখা তো মিলবে প্রতি মাসেই। তবে এ বছর ‘সুপারমুন’ দেখা যাওয়ার সম্ভাব্য দুটি তারিখ হলো ১ আগস্ট ও ৩১ আগস্ট।
মনের মিল, অঙ্কের মিল
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিয়ের তারিখটা জানেন? ১২-১২-১২। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। চাইলে আপনিও বছরের এমন কোনো চমকপ্রদ তারিখ বেছে নিতে পারেন।
এ বছর ৩ ফেব্রুয়ারির কথাই ধরা যাক। তারিখটা দেখুন: ০৩-০২-২০২৩। দিনটাও শুক্রবার। অতএব এখনই ভেন্যু বুক দিয়ে রাখার কাজে নেমে পড়তে পারেন।
২ মার্চও বেছে নিতে পারেন শুভক্ষণ হিসেবে। ০২-০৩-২০২৩। বিয়ের কার্ডে সংক্ষেপে তারিখটা এভাবেও লিখতে পারেন: ২.৩.২৩।
যদি অঙ্ক ভালোবাসেন, মার্চ মাসের ২৩ তারিখও আপনার পছন্দ হবে নিশ্চয়। ২৩০৩২০২৩—সংখ্যাটির মধ্যেই কিন্তু বেশ একটা ছন্দ আছে।
এ বছর যেকোনো মাসের ২৩ তারিখ বেছে নিলেই আদতে একটা সুন্দর সংখ্যা আপনি পেয়ে যাবেন। আবার যততম মাস, তততম দিনও হতে পারে আপনার পছন্দের তারিখ। যেমন ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ, মে মাসের ৫ তারিখ কিংবা ডিসেম্বরের ১২ তারিখ। এমনই একটি তারিখ আগস্টের ৮। এই দিনটি আবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘বিড়াল দিবস’ হিসেবে। কাজেই আপনি যদি বিড়াল ভালোবাসেন কিংবা আপনার নতুন সংসারে যদি বিড়ালপ্রেমী একজন সঙ্গীর আবির্ভাব ঘটে, তাহলে এই দিনেও বিয়ে করতে পারেন। হয়তো কেবল বিড়াল নয়, অন্য প্রাণীদেরও ভালোবাসেন আপনি। সে ক্ষেত্রে বিশ্ব প্রাণী দিবস—অক্টোবরের ৪ তারিখও বিয়ে করতে পারেন। প্রাণীদের ভালোবেসে দুজন মিলে এমন কিছু করতে পারেন বিয়ের আয়োজনে, যেন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেতন হন অন্যরাও।
কবিতা ভালোবাসেন? ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। এ দিনটিকেও বেছে নিতে পারেন বিয়ের জন্য। হাসতে ভালোবাসেন? কিংবা ভালোবাসেন প্রিয় মানুষের হাসি? বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হয় অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার। দিনটি এবার পড়েছে ৬ তারিখে। কাজেই অক্টোবরের ৬ তারিখ হতে পারে আপনার বিয়ের দিন।
ব্যক্তিগত জীবনে
নিজের জন্মদিন, জীবনসঙ্গীর জন্মদিন, মা-বাবা কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ির বিয়ের দিন কিংবা অন্য যেকোনো বিশেষ দিনে বিয়ে করতে পারেন আপনি। কত তারিখই তো কত কারণে মনে রাখা হয়। এসব তারিখ থেকে একটি তো বিয়ের জন্য বেছে নেওয়াই যায়।
অবশ্য তারিখে কী যায় আসে, এমনটাও ভাবতেই পারেন। দুজন মানুষের, দুটি পরিবারের সমঝোতা হলো কি না, সেটাই তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে বিয়ের তারিখ মনে না থাকা নিয়ে খুনসুটি, অভিমান, রাগ, দুঃখ, কান্নার মুহূর্ত তো আসতেই পারে অদূর বা সুদূর ভবিষ্যতে। তাই মনে রাখা সহজ, এমন একটা সংখ্যা বেছে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে তাতেই–বা কী! জীবনের পথে আপনার সঙ্গীকে আপনি কেমন সঙ্গ দিলেন, যুগ পেরোনোর পর কিন্তু সেই হিসাবেই মেলানো যাবে সব উত্তর। শুভ নববর্ষ। নাকি শুভবিবাহ বলব?