কীভাবে এত সবজি ফলে ডালিয়ার ছাদবাগানে?
ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকার যে কয়টি ছাদবাগানের দিকে বাগানপ্রেমীদের কৌতূহল, তার মধ্যে ডালিয়া কবির অন্যতম। যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের এই বৃক্ষপ্রেমীর গড়া ছাদবাগান সব দিক থেকেই দৃষ্টিনন্দন। তাঁর বাগানের ছবির পোস্টে সবাই যেভাবে লাইক–কমেন্ট করেন, তাতেই নাকি আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত হন এই নারী। এই শীতের মৌসুমেও তাঁর বাগানে থরে থরে সাজানো শাকসবজির বেড।
ছাদের মাঝখানটা নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখে চারপাশ ঘিরে টব আর লম্বাটে সবজির বেড। সেখানে লতানো সবজির জন্য মাচা উঠে গেছে সিঁড়িঘরের ছাদ পর্যন্ত। আর সেই মাচা থেকেই ঝুলে আছে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শসা, বরবটি, চালকুমড়া, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, করলা ইত্যাদি। এসব সবজির বেশির ভাগ নিজেই বীজ থেকে চারা করে বপন করেছেন ডালিয়া কবির। কিছু কিছু চারা কেনাও।
টবে আরও চাষ হচ্ছে টমেটো, ধনিয়া, কচুর মতো সবজি। ছাদের একেবারে শীর্ষে ইটের গাঁথুনিতে যে পানির হাউস রয়েছে, তার ওপরেও মাটি ফেলে সবজি চাষ করেছেন তিনি। টমেটো, ডাঁটা ছাড়াও মাঠ ফসলের মতো গোল আলুর চাষ করেছেন এই শহুরে কৃষাণী। ফলনও চোখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। ঠিক শখের বশে চাষ করা একটি–দুটি নয়, কেজি কেজি সবজি তোলেন একেক বেলা।
এত সব সবজির পরিচর্যা কীভাবে হয়, জানতে চাইলে ডালিয়া কবির বলেন, গাছের সার হিসেবে গোবর সার, লিকুইড কম্পোস্ট সার, মুরগির বিষ্ঠা আর খইলপচা পানি দিই। আর নিয়মিত পরিচর্যা ও পানি দিতে হয়, এটুকুই।’ ছাদের একটা অংশে কয়েকটি স্তরে দেশি মুরগি পালেন ডালিয়া। ফলে ফলমূল আর শাকসবজির বাইরে আমিষের জোগানও আসে ছাদ থেকে। আবার গাছের গোড়ায় সার হিসেবে ব্যবহারের জন্য মুরগির বিষ্ঠাও কাজে লাগছে এখান থেকে। গাছের রোগবালাই দূরে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেন। মাছি ও পোকার আক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করেন ফেরোমন ফাঁদ। এই নিয়ম মেনেই এবারও ডালিয়ার ছাদে ফলেছে বাহারি শীতের শাকসবজি।