যোগব্যয়ায়াম নিয়ে অন্য রকম এক আয়োজন

আজ সকালে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে যোগ দিবসের প্রাক্‌-প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেছবি: এভারগ্রিন ইয়োগার সৌজন্যে

প্রতিবছর ২১ জুন আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। যোগ দিবসের প্রাক্‌-প্রস্তুতি হিসেবে আজ রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ও যোগব্যায়ামের প্রতিষ্ঠান এভারগ্রিন ইয়োগা।

প্রশিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে আসা দর্শকেরাও অংশ নেন যোগব্যয়ামে
ছবি: এভারগ্রিন ইয়োগার সৌজন্যে

আজ ভোর সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে এভারগ্রিন ইয়োগার প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনুর তত্ত্বাবধানে ছিল যোগব্যায়ামের প্রদর্শনী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০০ জনের বেশি যোগব্যায়াম অনুসারী অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজনেটিতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল অ্যাক্রো ইয়োগা (সংগীতের তালে তালে যোগব্যায়াম)। যোগব্যায়াম নিয়ে ছিল বিশেষ এক নাটকের আয়োজন।

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন অতিথি
ছবি: এভারগ্রিন ইয়োগার সৌজন্যে

পুরো আয়োজনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃণ্ময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে এই যোগব্যায়াম যেন দিবসভিত্তিক না হয়ে যায়। যোগের পরিপূর্ণ সুবিধা পেতে নিয়মিত যোগাভ্যাস করা প্রয়োজন।

জাতীয় ইয়োগা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বলেন, যোগ করার জন্য বিয়োগ করা প্রয়োজন। জীবন থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা বিয়োগ (দূর) করতে পারলে যোগব্যায়াম হয়ে উঠবে আরও ফলপ্রসূ।

যোগব্যায়াম নিয়ে ছিল বিশেষ এক নাটকের আয়োজন
ছবি: এভারগ্রিন ইয়োগার সৌজন্যে

এভারগ্রিন ইয়োগার স্বত্বাধিকারী ও যোগব্যয়াম প্রশিক্ষক বাপা শান্তনু অনুষ্ঠানে যোগব্যায়ামের সঙ্গে তাঁর সখ্যতার গল্প শোনান। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমি প্রচুর বাইরের খাবার খেতাম। বিশেষ করে আখের জুস ছিল অনেক প্রিয়। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে একসময় শরীরে বাসা বাঁধে জন্ডিস। প্রায় আড়াই মাস পর জন্ডিস থেকে সেরে উঠলেও হজমের সমস্যা থেকেই গেল। ডাক্তার-ওষুধপত্রেও বিশেষ সুফল পাচ্ছিলাম না। এরপর একদিন বাবার পরামর্শে যোগব্যায়ামের সিডি ও বই দেখে যোগের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। স্বামী রামদেবের বই থেকে যোগব্যায়ামের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলা শুরু করি। এক মাসের মধ্যে আমার হজমের সমস্যা পুরোপুরি কেটে যায়। এরপর থেকে আমি পুরোদমে যোগব্যায়ামের চর্চা শুরু করি। সেই ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত, যত কাজই থাকুক না কেন, আমি যোগব্যায়াম কখনো বাদ দিইনি।’