ছাদবাগান মশামুক্ত রাখার উপায়
নগরবাসীর কাছে ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম। এখন বছরজুড়েই থাকছে ডেঙ্গু, কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। মশার ভয়ে অনেকে তাই ছাদবাগান করতেও ভয় পান। চাই মশামুক্ত ছাদবাগান।
কীভাবে মিলবে এমন বাগান
ছাদে যাতে পানি জমে না থাকে, সে জন্য পানিনিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা রাখতে হবে। চারা লাগানোর টব, বাক্স বা ড্রামের নিচে আকার অনুযায়ী ৩-৫টি ছিদ্র করে নিন। মাটি ভরাটের আগে ছিদ্রগুলো ভাঙা ইটের টুকরা বা খোয়া দিয়ে ঢেকে দিন। এতে বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে টবে মাত্রাতিরিক্ত পানি জমে গেলেও ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
টবে পানি জমে থাকলে শুধু মশাই নয়, গোড়া পচে গাছও মারা যেতে পারে। ফলে গাছকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থেই গাছের গোড়ায় দীর্ঘসময় ধরে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
অনেকে ছাদবাগানে পাখিদের জন্য পানি বা খাবারের পাত্র রাখেন। খেয়াল করে নিয়মিত সেই পাত্রের পানি বদলে দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন না–হয় অন্তত ২-৩ দিন পরপর পানি পরিবর্তন করে দিন।
গাছে পানি দেওয়ার সময় এমনভাবে পানি দিন, যাতে ৩০ মিনিটের মধ্যেই মাটি তা শুষে নিতে পারে। এতে টবের উপরিভাগে পানি জমবে না। এ ছাড়া টবের মাটিতে ও উপরিভাগে কোকোডাস্ট, নারিকেলের খোসা বা কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে দিলে তা অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে পারে। ফলে টবে পানি জমতে পারবে না।
এ ছাড়া আগাছা পরিষ্কার করে, নিড়ানি দিয়ে, বালাই দমনসহ নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে ছাদবাগানকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কিছু গাছ আছে, যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে মশা প্রতিরোধক। যেমন তুলসী, পুদিনা, লেমনগ্রাস, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদাজাতীয় ফুলের গাছ। এগুলো থাকলে সেখানে মশা থাকতে চায় না। ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে সাইট্রোনেলা, রোজমারি গাছও মশা প্রতিরোধে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। অন্য গাছের পাশাপাশি এ ধরনের গাছও ছাদবাগানে রাখতে পারেন।