আজ ১১-১১, ব্যাচেলর পার্টির মোক্ষম দিন, কেন জানেন?
‘বাপজান, আমি বিয়া করব না; লইজ্জা লাগে!’
হুমায়ূন আহমেদের হাবলংগের বাজারে নাটকে অভিনেতা এজাজুল ইসলামের বিখ্যাত সংলাপটি মনে আছে নিশ্চয়ই। আবার বর আসবে এখুনি সিনেমায় ভারতীয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তের ঠোঁটে ‘বাবা, আমার কি বিয়ে হবে না’—গানটিও আমরা অনেকে শুনেছি। একেবারে বিপরীত দৃশ্যপট। একজন বিয়ে করতেই রাজি না। আরেকজন বিয়ে হচ্ছে না বলে হতাশায় ভুগছেন।
সমাজে বিয়েপাগলা মানুষ যেমন আছে, আছে বিয়েবিমুখ মানুষও। কারও ভেতর প্রেমের জন্য উথালপাতাল ঝড়। কারও কাছে একলা থাকাই দারুণ সুখকর। যুগলদের কাছে জীবন এক রকম সুন্দর। নানা রকম উৎসব, আনন্দ, অভিমান, খুনসুটি—বিচিত্র অভিজ্ঞতা। কিন্তু যাঁরা অবিবাহিত, প্রেমের মতো হৃদয়ঘটিত কোনো সম্পর্ক যাঁদের নেই, তাঁদের জীবন কি ম্যাড়মেড়ে? একদমই না। এ–ও এক অন্য রকম আনন্দ। হাত-পা ঝাড়া মুক্ত জীবন। নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের মতো তাঁরা হয়তো মনে করেন, বিবাহিত মানে প্রকারান্তরেতে মৃত।
তাঁরা হয়তো মৃত জীবন চান না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার যে তুমুল আনন্দ, তা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হতে চান না কিছুতেই।
আজ ১১ নভেম্বর, ‘ব্যাচেলর দিবস’। দিনটি ‘সিঙ্গেল দিবস’ হিসেবে অধিক পরিচিতি পেলেও আদতে এটি ‘ব্যাচেলর দিবস’ নামেই শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি চালু হয়। নভেম্বর ইংরেজি বর্ষের ১১তম মাস। ফলে সব মিলিয়ে এতে আছে চারটি এক: ১১-১১। প্রতিটি এক আসলে একক ব্যক্তির প্রতিনিধিস্বরূপ। অর্থাৎ পাশাপাশি থেকেও যে একা থাকা যায়, ১১ নভেম্বর যেন তা-ই বোঝাচ্ছে। ব্যাচেলররা কিন্তু আজকের দিনটি পালন করতে পারেন। যুগলেরা পালন করুক প্রেম বা বিয়েবার্ষিকী কিংবা চকলেট, গোলাপ, প্রস্তাব, প্রতিশ্রুতি, চুমু কিংবা আলিঙ্গন দিবস। বিপরীতে ব্যাচেলর বন্ধুরা সব মিলে আজকে হোক জম্পেশ ব্যাচেলর পার্টি।
ডেজ অব দ্য ইয়ার ইয়ার অবলম্বনে