চকলেট তখন পানীয় হিসেবে পান করা হতো
চকলেটের চেয়ে রোমান্টিক আর কিছু নেই—আমেরিকান লেখক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব টেড অ্যালেন এমন রায় দিয়েছেন। মিরান্ডা ইনগ্রাম নামের এক লেখিকা তো আরেক কাঠি সরেস। তিনি বলেছেন, ‘ভাববেন না যে চকলেট ভালোবাসার বিকল্প। বরং ভালোবাসাই চকলেটের বিকল্প। এমনকি চকলেট একজন পুরুষের চেয়েও নির্ভরযোগ্য।’
কথাগুলো কিন্তু ফেলনা নয়। অভিমানে গাল ফুলিয়ে আছে প্রেমিকা। মুঠোভর্তি চকলেট দিন, দেখবেন মুখভর্তি হাসি ফুটে উঠেছে। শিশুদের কাছে চকলেট তো রীতিমতো অমৃতসমান। আসলে নারী-পুরুষ, বড়-ছোটনির্বিশেষে এই খাদ্যদ্রব্য খুবই জনপ্রিয়।
এ জনপ্রিয়তা কিন্তু আজকের নয়। চকলেটের ইতিহাস বহু পুরোনো, আড়াই হাজার বছর পুরোনো। তখন থেকে এটি মানুষের কাছে সমাদৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন ওলমেক (১২০০–৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ও মায়া সভ্যতার (খ্রিস্টপূর্ব ২৫০–১৬৯৭ খ্রিষ্টাব্দ) মানুষদের হাত ধরে এর জন্ম। আমাজন জঙ্গলের কোকোগাছের বীজ থেকে তৈরি হয় প্রথম চকলেট। তখন অবশ্য চকলেট ছিল তরল। পানীয় হিসেবে পান করা হতো। প্রাচীন আজটেক সভ্যতায় (১৩০০–১৫২১ খ্রিষ্টাব্দ) চকলেটকে রীতিমতো স্রষ্টার উপহার বা স্রষ্টার খাবার বলে মনে করা হতো। সম্ভবত এ জন্যই শ্রেণিবিন্যাসের জনক ক্যারোলাস লিনিয়াস চকলেটের নাম দিয়েছিলেন ‘থিওব্রোমা কোকো’, যার অর্থ করা হয়েছিল ‘দেবতাদের খাবার’। এমনকি সে সময় আজটেকরা কোকো বীজকে তাদের কারেন্সি তথা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করত।
আজ ২৮ অক্টোবর, চকলেট দিবস। দিনটি যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হয়। অবশ্য ৭ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব চকলেট দিবস হিসেবে। আবার আন্তর্জাতিক চকলেট দিবস ১৩ সেপ্টেম্বর। এদিকে ভালোবাসা দিবসের আগের সপ্তাহেও চকলেট দিবস পালন করা হয়।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে