আজ মোটরসাইকেল চালানোর দিন
মোটরসাইকেলকে কেউ বলেছেন ‘গতির কবিতা’! কারও কারও কাছে মোটরসাইকেল চালানো মানে দুর্দান্ত কোনো গল্প লেখা, যে গল্পের (পড়ুন পথের) বাঁকে বাঁকে থাকে অনবদ্য চমক। কারও বিবেচনায়, মোটরসাইকেল চালানো নেহাত একটা শখমাত্র নয়, রীতিমতো জীবনযাপন। একজন মোটরসাইকেলপ্রেমীর কাছে সবচেয়ে শখের জিনিস কলের এই দ্বি-চক্রযান।
মোটরসাইকেলপ্রেমীরা এসব বক্তব্যের মাজেজা ভালো বুঝতে পারবেন। এই তো দিনকতক আগে একজন তাঁর মোটরসাইকেলের জন্মদিন পালন করলেন ঘটা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল সেই ভিডিও। মোটরসাইকেল চালিয়ে দেশের এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে বেড়ানো একজন একদিন বলছিলেন, সম্ভব হলে আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে চান্দের দেশেও চলে যেতাম!
কেবল তারুণ্যের নায়কোচিত ব্যাপারের জন্যই নয়, মোটরসাইকেল চালানোর বাস্তবিক কতগুলো সুবিধাও আছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় এর মূল্যের বিষয়টি। মোটামুটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে একেবারে প্রথম কাতারে রয়েছে এই যান। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ব্যাপারটি তো রয়েছেই, তা ছাড়া এটি সময়সাশ্রয়ী এবং অন্যান্য বাহনের তুলনায় পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার, সে হিসাবে আজ ১২ অক্টোবর, মোটরসাইকেল চালনা দিবস। ২০১৫ সাল থেকে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হচ্ছে। ডানলপ মোটরসাইকেল কোম্পানির পণ্য ব্যবস্থাপক চ্যাড গিয়ার এই দিবসের উদ্যোক্তা। উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালের অক্টোবরে জন বয়েড ডানলপ উদ্ভাবন করেন বায়ু ভরা টায়ার, যা মোটরসাইকেল জগতে নিয়ে আসে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
মূলত মোটরসাইকেল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই দিবসটির চল হয়। যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই এটি পালিত হওয়া জরুরি। বিশেষত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তো বটেই। সারা বছরের নয়, কেবল গত মাসের তথ্য দিলেই মোটরসাইকেলে নিরাপত্তার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন, যা সড়কে নিহত হওয়ার মোট সংখ্যার ৪২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ৮৩।
ডেজ অব দ্য ইয়ার ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন অবলম্বনে