বাড়ির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অংশ হল মেঝে। বিভিন্ন গৃহস্থালি কাজকর্ম, শিশুদের খেলাধুলা, খাওয়াদাওয়া প্রভৃতি কারণে সব সময়ই ব্যস্ত থাকে ঘরের মেঝে। অপরিচ্ছন্ন মেঝে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। মেঝেতে ধুলা, ময়লা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র কণিকা জমতে পারে যা ঘরের ভেতরের বাতাসের মানকে প্রভাবিত করে। ময়লা মেঝেতে হাঁটাচলা করলে এই কণিকাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করে হতে পারে শ্বাসকষ্টের কারণ। এতে অ্যালার্জি বা হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তো আছেই। মেঝে নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে থাকলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। হাঁটাচলা বা শিশুদের খেলাধুলার সময় পিছলে পড়ে বড় কোনো ক্ষতি হতে পারে।
এ তো গেল শারীরিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কথাবার্তা। ঝকঝকে মেঝে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও দারুণ প্রভাব ফেলে। পরিচ্ছন্ন বাড়িঘর মন ভালো রাখে। আবার অফিস বা কর্মস্থলের পরিচ্ছন্নতা কর্মপরিবেশ উন্নত করে। মোটকথা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা জরুরি। কাজটা ক্লান্তিকর কিন্তু অপরিহার্য।
আজ ৩ আগস্ট, মেঝে পরিষ্কার দিবস। আমেরিকায় দিনটি পালিত হয়। কবে কীভাবে এর চল হয়েছিল, জানা যায় না। তাতে কী! দারুণ এই দিবস পালন করতে পারেন। সব ধরনের পরিচ্ছন্নতা উপকরণ সব মেঝের জন্য উপযোগী না। এ ক্ষেত্রে কোনটি আপনার মেঝের জন্য কার্যকর ও জীবাণুনাশক হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুন। আজকের দিন উপলক্ষে সেই উপকরণগুলো কিনে নিন। নিজের পাড়া বা মহল্লায় ‘মেঝে পরিষ্কার’–বিষয়ক ছোটখাটো একটি সামাজিক পরিচ্ছন্নতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে