কী আছে কঙ্গনার হিমাচলের বাড়িতে
কঙ্গনা রনৌত নিজেকে বলিউডের রানি দাবি করেন। পর্দার রানি হতে পেরেছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর দর্শকদের কাছে। কিন্তু মানালিতে যে বাড়ি বানিয়েছেন, তাকে রাজপ্রাসাদ বললেও কম বলা হবে। হিমাচলের সেই ‘রাজপ্রাসাদে’ কী আছে, চলুন দেখে আসা যাক।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার মিটার ওপরে পাহাড়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে এই বাংলো। ইউরোপিয়ান স্টাইলের ডুপ্লেক্স বাংলোটিতে রয়েছে সাতটি বেডরুম ও সাতটি বাথরুম। ৭ হাজার ৬০০ বর্গফুটের বাংলোটিতে ২০১৭ সাল থেকে বসবাস করছেন কঙ্গনা। সাদা দরজা-জানালার সঙ্গে ধূসর রং হিমালয়ের বুকে বাড়িটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে হাজার গুণ।
বাড়ির অন্দরসজ্জার কাজ করেছেন শবনম গুপ্তা। বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের অ্যাপার্টমেন্টের কাজ করেছেন তিনি। ইরফান খানের বাসার কাজ দেখেই শবনমের হাতে বাড়ির দায়িত্ব তুলে দেন কঙ্গনা। কঙ্গনাকে হতাশ করেননি তিনি।
‘মানালির বুকে এক টুকরা হিমালয়’ বাড়ির মাস্টার বেডরুম হিসেবে এটাই ছিল কঙ্গনার ইচ্ছা। যে কারণে বেডরুমের পুরোটাই স্নো হোয়াইট। বেডরুমের বিছানা, আলমারি, টেবিল থেকে শুরু করে ড্রেসার, সবটাই শুভ্র সাদা। থিমের সঙ্গে মিল রেখে রুমের প্রতিটি আসবাব নিজে তৈরি করেছেন শবনম গুপ্তা।
হাতে আঁকা পেইন্টিং দিয়ে সাজানো হয়েছে খাবার ঘরের দেয়াল। বসার ঘরের সবুজ দেয়ালে আছে প্রকৃতির ছোঁয়া। হাতে আঁকা গাছের ডালপালার সঙ্গী হয়েছে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর। অন্যান্য ঘর থেকে বসার ঘরকে আলাদা রাখতেই শবনমের এই প্রচেষ্টা।
কঙ্গনার ডুপ্লেক্স বাসায় সিঁড়িকে সিঁড়ি না বলে ফটো গ্যালারি বললেও ভুল হবে না। কাঠের সিঁড়ির দেয়ালজুড়ে প্রায় শখানেক ছবি। ভিন্ন ভিন্ন ডিটেইলস, মানালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কঙ্গনার দেশে-বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি রেলিং।
বাড়ির চিলেকোঠায় তৈরি করা হয়েছে গ্লাসহাউস। সম্পূর্ণ কাচের তৈরি এই ঘর থেকে সরাসরি উপভোগ করা যায় মানালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। একদিকে পাহাড়ে আচ্ছাদিত মানালি, অন্যদিকে হিমালয়—সব মিলিয়ে বাড়ির চিলেকোঠায় বসে যেকোনো সময় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যেতে পারেন কঙ্গনা। সম্পূর্ণ কাচের তৈরি বলে শীত-গ্রীষ্ম যেকোনো আবহাওয়াতেই ঘরটির তাপমাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রিত।
ব্যক্তিগত জীবনে বেশ পড়ুয়া স্বভাবের কঙ্গনা। বসার ঘরে তাই কঙ্গনার জন্যই আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে লাইব্রেরি। মানালির সৌন্দর্যকে সামনে রেখে কেউ যদি ভালো বইয়ের ভেতর হারিয়ে যেতে চান, তাতে নেই কোনো বাধা। মেঝে ও সিলিংয়ের সঙ্গে মিল রেখে ঘরের ডিজাইনও করা হয়েছে কাঠের অবয়বে। হুট করে বসার ঘরে ঢুকলে মনে হবে নর্ডিক কোনো কাঠের ঘরে প্রবেশ করেছেন। আসবাব থেকে সোফা, সবকিছুতেই কাঠের ছোঁয়া।
অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বসার ঘরের পাশে রয়েছে ছোট্ট একটি বার। এ ছাড়া কঙ্গনার জন্য রয়েছে আলাদা কাঠের তৈরি ঘর। সেখানে যোগব্যায়াম আর শরীরচর্চা করেন এই অভিনেত্রী। সব আওয়াজ, ব্যস্ততা ও ভিড় থেকে নিজেকে সারিয়ে এখানেই নিরিবিলি ছুটি কাটান কঙ্গনা।
তথ্যসূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া