মিরপুরের ফুটপাত থেকেই সংগ্রহ করতে পারেন ঘর সাজানোর এসব উপকরণ

মিরপুর-২-এর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের ফুটপাতেই আছে অন্দরসজ্জা সামগ্রীর বেশ কিছু দোকান
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার

নিজের ঘরটিকে মনের মতো করে সাজাতে চান সবাই। সাজানো ঘর অন্যের কাছে ফুটিয়ে তোলে আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব। অনেকেই এখন বোহিমিয়ান জোয়ারে ভাসছেন। ঘর সাজাতেও এই এলোমেলো বা ভবঘুরে থিমের ওপর নির্ভর করছেন তাঁরা। এ ধরনের অন্দরসজ্জায় দেখা যায় উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। আপনি যদি রংবেরঙের বোহিমিয়ান থিমে ঘর সাজাতে চান, তাহলে মিরপুর হতে পারে নানা উপকরণ সংগ্রহের সেরা একটি জায়গা। মিরপুর-২-এর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের ফুটপাতেই আছে অন্দরসজ্জা সামগ্রীর বেশ কিছু দোকান। এগুলো থেকে বেছে নিতে পারেন পছন্দের মৃৎশিল্প ও কারুশিল্পের নান্দনিক সব জিনিসপত্র।

মিরপুরের ফুটপাতে ঘর সাজানোর এই অনুষঙ্গের দেখা মিলবে
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার

টেরাকোটা

অন্দরসজ্জায় টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ভাস্কর্য ও ফলক নতুন কিছু নয়। মিরপুরের ফুটপাতে ঘর সাজানোর এই অনুষঙ্গের দেখা মিলবে। বাউল, পালকিসহ নানা নকশা ও চিত্রখচিত টেরাকোটা পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

আরও পড়ুন

আয়না

রোজই কোনো না কোনো সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই আমরা। একটি সুন্দর আয়না অন্দরমহলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। গোলাকার ও আয়তাকার কারুকার্যখচিত আয়না হালে বেশ জনপ্রিয়। এসব আয়নায় থাকে সুতা ও পুঁতির বাহারি নকশা। আছে কাঠের আয়নাও। ছোট থেকে মাঝারি গোলাকার আয়নার দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর বড় আয়তাকার কাঠের আয়নার দাম পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা।

আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে মাটির তৈজস
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার

মাটির তৈজস

আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে মাটির তৈজস। গ্রাম-শহর সবখানেই একসময় মাটির পাত্রের চল ছিল। এসব পাত্র দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। মাটির তৈরি পাতিল, ঢাকনা, থালা, মগ, ফুলদানিসহ বিভিন্ন ধরনের পাত্রের দেখা মেলে মিরপুর ২-এর ফুটপাতে। মাটির তৈরি পাতিল ও ঢাকনা ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। মাটির থালা ও মগের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর আকারভেদে ফুলদানির দাম পড়বে ১০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

আরও পড়ুন

ড্রিমক্যাচার

মাকড়সার জালের মতো দেখতে ড্রিমক্যাচার দেখতে বেশ সুন্দর। গোল ফ্রেমে বাহারি রঙের পাটের দড়ি, পুঁতি, পালক দিয়ে তৈরি এই বস্তু ঘর সাজানোর একটি দারুণ অনুষঙ্গ। মিরপুর ২-এর ফুটপাতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ড্রিমক্যাচার।

ঘর সাজাতে অনেকেই ব্যবহার করেন শণের ঝুড়ি
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার

শণের ঝুড়ি

ঘর সাজাতে অনেকেই ব্যবহার করেন শণের ঝুড়ি। মজবুত এই ঝুড়িগুলো কেউ ব্যবহার করেন ফল কিংবা গয়না রাখতে, কেউ কেউ আবার ইনডোর প্ল্যান্টও রাখেন। ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায় পেয়ে যাবেন নানা আকার আকৃতির শণের ঝুড়ি।

এ ছাড়া মিরপুর ২-এর ফুটপাতে পাবেন ঘর সাজানোর কৃত্রিম গাছ, কৃত্রিম পাখির বাসা, ল্যাম্পশেড, শোপিস, ফ্রিজ ম্যাগনেটসহ ঘর সাজানোর নানা উপকরণ।