উৎসবে যেভাবে ঘর সাজাবেন
উৎসবে নিজেদের পাশাপাশি অন্দরেরও চাই নতুন সাজ। বিশেষ করে বাড়ির প্রবেশপথ, বসার ঘর, খাবার ঘরে নানা কিছু যোগ–বিয়োগ করে নতুনত্ব আনার একটা চেষ্টা কমবেশি সবারই থাকে। কেউ নতুন আসবাব কেনেন, কেউ অনুষঙ্গে আনেন বদল। এ সময় ঘরের আসবাবে মিনিমালিস্টিক ধারণা বেশি জনপ্রিয়।বিশেষ কোনো দিনে অন্দর কীভাবে সাজাতে পারেন, তারই একটি ধারণা এখানে রইল।
অতিথি বসার ঘরেই প্রথমে আসবেন। ছবি দেখলেই বোঝা যায়, এটি তরুণ কোনো দম্পতির ঘর। স্পটলাইট, আধুনিক নকশার ঝাড়বাতি, দেয়ালের দুই থেকে তিন ধরনের নকশা, এল আকারের সোফায় সবুজ রঙের থ্রোস, বড় কফি টেবিলের পরিবর্তে ছোট ছোট একাধিক টেবিল—সবকিছুতেই এই সময়ের ছাপ। টেলিভিশনের নিচে এমন ক্যাবিনেট অন্দরের সৌন্দর্য যেমন বাড়ায়, তেমনি ঠেসেঠুসে রাখা যায় নানা ধরনের জিনিস।
ছবি, আলোকবাতি, ঘর অনুযায়ী আসবাব, প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা, ফলস ছাদ এবং দেয়ালের বাড়তি অলংকরণ—ড্রয়িংরুমকে আকর্ষণীয় করে তোলে যে কয়েকটি বিষয়, সবই এই বসার ঘরে আছে। ঘরটি ছোট হলেও পরিকল্পনার কারণে দেখতেও লাগছে বড়।
ঘরের ভেতর ছোটখাটো পরিবর্তনেই চলে আসবে উৎসবের আমেজ। গাছ এ ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেয়ালে যোগ করতে পারেন আয়না। দেয়ালে লাগানো ঝুড়িগুলো দেখেছেন? সেখানে রাখা হয়েছে ছোট ছোট টবে লাগানো পাতাবাহার। জুতা রাখার র৵াকের ওপর এ ধরনের ছবিও রাখতে পারেন। অন্দরে ঢোকার সময় সবুজের উপস্থিতি মন ভালো করে, দূর করে ক্লান্তি।
বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রান্নাঘর। জায়গা অনুযায়ী রান্নাঘর ডিজাইন করা প্রয়োজন। এতে কাজের গতি বাড়বে। আধুনিক রান্নাঘরে তাকের ভেতর আলো ব্যবহারের বিষয়টি অনেকেরই পছন্দ। চুলার ওপর কিচেন হুড লাগাতে পারলে তেল চিটচিটে ভাব কম হবে। ব্যবহার করা জিনিস গুছিয়ে রাখতে রান্নাঘরের ওপরে ও নিচে পর্যাপ্ত তাক বা শেলফ থাকতে হবে।
গল্প করা, একসঙ্গে বসে খাওয়া, অতিথি আপ্যায়ন—খাবার ঘরের অনেক কাজ। প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য ওয়াগন, শেলফ, হাত ধোয়ার জায়গা প্রভৃতি পরিকল্পনা অনুযায়ী থাকলে ভালো। কাজের সময় গতি বাড়বে। এই ঘরের একদিকের দেয়ালে রাস্টিক ইট, আরেক দিকে দেয়ালজুড়ে আলমারি, অন্যদিকে বেসিন আর বাসন রাখার কাবার্ড। খাবার টেবিলের টপটি মার্বেলের। চেয়ারগুলো ভেলভেট কাপড়ে মোড়া, পায়ার নিচের অংশে সোনালি ধাতবের ব্যবহার আর মাথার ওপরের ঝাড়বাতিটি অনেকটা মধ্যযুগের ভাব নিয়ে এসেছে।
কথায় আছে, পরিবেশন সুন্দর হলে খিদে বেড়ে যায় বহুগুণ। তাই খাবার পরিবেশনের সময় খাবার টেবিলের সৌন্দর্যের দিকেও খেয়াল রাখুন। ফুলতোলা নকশার বাসন, টেবিলের ওপর ছোট ফুলদানি আর মোমবাতির ব্যবহার করতে পারেন। পুরো পরিবেশেই চলে আসবে সতেজ ভাব।