আলিয়া ভাট মা হওয়ার পর শুটের জন্য যেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন

ফিটনেস লক্ষ্য অর্জনে প্রশিক্ষক ও পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে পেশাদার নির্দেশনা নিয়েছেন আলিয়া। কার্ডিও, ট্রেনিং ও যোগের মিশেলে তাঁর ব্যায়ামগুলো ঠিক করে দিয়েছেন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক। শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ওপরও জোর দিয়েছিলেন আলিয়া।

রকি অর রানি কি প্রেম কাহানির ‘তুম কেয়া মিলে’ গানটি প্রকাশের পর থেকে এটিকে টক অব দ্য টাউনে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন নির্মাতারা। এ বাবদে কোনো কৌশলই তাঁরা বাদ রাখছেন না। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে একটি ‘আস্ক মি এনিথিং’সেশনেরও আয়োজন করেছিলেন সিনেমার নায়িকা আলিয়া ভাট। গানটি প্রকাশের এক দিন আগে আলিয়া জানিয়েছেন, মেয়ে রাহার জন্মের চার মাস পর তুম কেয়া মিলের শুটিং করেছিলেন। একজন ভক্ত আলিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, সন্তান হওয়ার পর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি ছবিটির প্রচারণায় ব্যস্ত এখন আলিয়া ভাট এবং রানভীর সিং
ছবি: আলিয়া ভাটের ইন্সটাগ্রাম থেকে নেওয়া

একটি পোস্টের মাধ্যমে আলিয়া জানিয়েছেন, নতুন মা হিসেবে কাজে ফিরে যাওয়াটা কখনোই সহজ নয়। এ সময় একসঙ্গে বিভিন্ন আবেগ অনুভব করেন নতুন মায়েরা। কিন্তু তিনি কৃতজ্ঞ। কারণ, শুটে থাকা সবাই তাঁকে সহায়তা করেছে সব সময়।

গানটির জন্য মেয়ে জন্ম নেওয়ার ছয় সপ্তাহ পর থেকেই ব্যায়াম শুরু করেন আলিয়া। গানটি শুট করার দুই সপ্তাহ আগে একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন। ভিডিওটিতে জানিয়েছেন শুটের জন্য কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। আলিয়া জানিয়েছেন, শিফন শাড়িতে চিত্রায়িত এটি তাঁর প্রথম প্রেমের গান। চেয়েছিলেন এটি অসামান্য হোক। আলিয়া ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আরও জানিয়েছেন, ‘(গানের কোরিওগ্রাফার) বৈভবী মার্চেন্ট শুটের সময়সূচি পরিকল্পনা করেন রাহাকে খাওয়ানোর সময়ের ওপর ভিত্তি করে। আর যখনই দূরে থাকতেন, তাঁর মা আর বোন রাহাকে দেখে রাখতেন। এটি ছিল আমার শিশুকন্যার প্রথম কাশ্মীর ভ্রমণ। তার চোখ দিয়েই আমি পাহাড় দেখেছি।’

ফিটনেস লক্ষ্য অর্জনে প্রশিক্ষক ও পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে পেশাদার নির্দেশনা নিয়েছেন আলিয়া। কার্ডিও, ট্রেনিং ও যোগের মিশেলে তাঁর ব্যায়ামগুলো ঠিক করে দিয়েছেন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক। শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ওপরও জোর দিয়েছিলেন আলিয়া। আলিয়া স্বীকার করেছেন যে সন্তান জন্মের পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জিং ছিল। সবকিছুই খুব সাবধানে করতে হয়েছে। পাশাপাশি সুষম খাদ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে আলিয়া তাঁর কাঙ্ক্ষিত ফিটনেস লক্ষ্য অর্জন করেছেন।