মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন
মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে আলাদা করে তেমন কিছু আমরা করি না। তবে সুস্থতার জন্য মস্তিষ্ককেও রাখতে হবে সচল। মস্তিষ্কেরও আছে ব্যায়াম। মনোযোগ বাড়াতে, মনকে নির্দিষ্ট দিকে স্থির বা ফোকাস করতে এসব ব্যায়াম জরুরি। জীবনটাই যেন অস্থির। অস্থির চারপাশ। এর মধ্যে স্থিতধী থাকাটা বেশ মুশকিল। তাই মস্তিষ্কের ব্যায়াম অভ্যাস করুন।
বয়সের সঙ্গে কমে স্মৃতিশক্তি। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজে দেয় মস্তিষ্কের ব্যায়াম। শরীরচর্চাও কিন্তু জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আলঝেইমার (স্মৃতিশক্তি ক্ষয়ে যাওয়ার রোগ) হওয়ার ঝুঁকি কমে। তা ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চায় মানসিক চাপও কমে। বন্ধু ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোও মস্তিষ্কের জন্য ভালো।
মস্তিষ্কের ব্যায়াম
বিজ্ঞান ও গণিতের মতো যুক্তিভিত্তিক চর্চায় মস্তিষ্কের একটি অংশের ব্যায়াম হয়। আবার সৃজনশীল কাজও মস্তিষ্কের অপর অংশের জন্য জরুরি। বই পড়া, লেখালেখি, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ডায়েরি লেখা, ছন্দ মেলানো—সবই মস্তিষ্কের জন্য ভালো। খেলার ছলেও হয় ব্যায়াম। রুবিকস কিউব, সুডোকু, জিগস পাজল, ক্রসওয়ার্ড পাজল, দাবার মতো খেলায় রোজ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। কার্ড বা তাস খেলাও ভালো। অনলাইনে গেম খেলা যেতে পারে (তবে এর নেশায় বুঁদ হয়ে নয়)। শব্দ, সংখ্যা, গণিত কিংবা নানা ধরনের আকৃতি নিয়ে খেলা হতে পারে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে (অর্থাৎ, বন্ধুরা মিলে এমন কিছু নিয়ে খেলতে পারেন; অনলাইনের চাইতে এটাই বেশি ভালো)। অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে শরীরে যাতে জড়তা চলে না আসে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করুন। হতে পারে সেটি নতুন কোনো ভাষা। তৈরি করতে পারেন নতুন নতুন দক্ষতা। সেলাই বা বুননেও হয় মস্তিষ্কের ব্যায়াম। ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করতে পারেন নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে। ফেলনা জিনিস কাজে লাগাতে পারেন অন্দরসজ্জায়। মস্তিষ্কের ব্যায়াম হবে।
শরীর রাখুন সচল
শরীর সচল রাখার অর্থ যে কেবল পার্কে গিয়ে দৌড়ানো, তা কিন্তু নয়। বারান্দা, ছাদ বা ঘরের লম্বা করিডরেও হাঁটুন। এমনকি টেলিভিশন দেখার সময়ও এমন কিছু ব্যায়াম করতে পারেন, যা এক জায়গায় দাঁড়িয়েই করা সম্ভব। পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলাধুলাও দারুণ ব্যায়াম। বাগানও করতে পারেন।
খাবারটাও গুরুত্বপূর্ণ
উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণে উৎসাহী হোন। রেডমিট, পরিশোধিত শর্করা বা পরিশোধিত শস্যদানা এড়িয়ে চলুন। আমিষ বেছে নিন এমনভাবে, যাতে ক্যালরি ও খারাপ চর্বির পরিমাণ থাকে কম। খাবারে লবণের ব্যবহার করতে হবে সীমিত। পাতে বাড়তি লবণ বর্জনীয়। ওমেগা–৩ যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, সামুদ্রিক মাছ স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।