ডায়াবেটিস প্রতিহত করার পাশাপাশি ডার্ক চকলেট যেভাবে ওজন কমাবে
অনেকেই ক্যালরি ও সুগার বেশি থাকায় ভয়ে চকলেট খেতে চান না। তবে চকলেটপ্রেমী আর ওজনসচেতন মানুষ চাইলেই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি ডার্ক চকলেটের রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।
মানসিক সমস্যায় ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট মানসিক অবসাদ দূর করে। মনখারাপের সময় ডার্ক চকলেট খেলে মন ভালো করার হরমোন বেড়ে যায়। ডার্ক চকলেট মানসিক চাপের জন্য দায়ী হরমোন যেমন কর্টিসল ও এপিনেফ্রিনের পরিমাণ কমিয়ে মনকে রাখে প্রফুল্ল।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও ডার্ক চকলেটের থিওব্রোমাইন ও ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিভিন্ন স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ডার্ক চকলেট স্মৃতি বাড়াতে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ উন্নত করে।
হার্টের সমস্যায় ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে বিদ্যমান ফ্লেভানল অতিরিক্ত চর্বি কমায়। এর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গুণাবলি হার্টের কোষগুলোর আসন্ন ধ্বংস প্রতিহত করে।
নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরণের ফলে ডার্ক চকলেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
ডার্ক চকলেটে বিদ্যমান পলিফেনলস ও থিওব্রোমাইন রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ কমিয়ে ভালো চর্বির পরিমাণ বাড়ায়।
ডার্ক চকলেট পরিপাকতন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে হজমে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতায় ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট ত্বকের কোষ নষ্ট হওয়া প্রতিহত করে।
ত্বকের রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
শুষ্কতা প্রতিহত করে ত্বককে রাখে নরম ও সতেজ।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি ডার্ক চকলেট খেতে পারবেন?
ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ কম থাকে, তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা ডার্ক চকলেট খেতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, ডার্ক চকলেট ডায়াবেটিস প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কী পরিমাণ চকলেট খাওয়া যাবে?
৭০ শতাংশ চকলেট আছে, এমন ডার্ক চকলেট ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রতিদিন খেতে পারবেন। গর্ভবতী মায়েরা ৩০ গ্রাম পর্যন্ত চকলেট খেতে পারবেন। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডার্ক চকলেট খেলে শিশুর হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ত্রুটি এবং কম ওজনের সন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ডা. শিমু আক্তার, সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর