তেজপাতা যেভাবে শরীরের আটটি সমস্যা দূরে রাখে
তেজপাতা সুগন্ধি মসলা। কাঁচা পাতার রং সবুজ। শুকনা পাতার বাদামি। ভেষজ এই পাতার আছে নানা ওষধি গুণাবলি। রান্নার ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা দেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু খাবারের প্লেটে চলে এলে অনেকেই বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু যখন জানবেন এই তেজপাতার এত গুণ, তখন আর একে অবহেলা করতে পারবেন না।
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
তেজপাতায় আছে ফেনোলিক যৌগ, যা ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণ রাখে। যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের জন্য তেজপাতা বেশ উপকারী।
২. কাশি দূর করবে
গরম পানিতে দুই থেকে তিনটি তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করতে পারেন তেজপাতার চা। তেজপাতার চায়ে দূর হবে খুসখুসে কাশি। পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত হয়, কমে উদ্বেগ। ভালো ঘুমের জন্যও উপকারী এই চা।
৩. ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, তেজপাতা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে। এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও ক্যাটেচিন নামক উপাদান থাকায় এটি ক্যানসার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৪. ব্যথা উপশম করে
তেজপাতা শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে তেজপাতা কার্যকরী।
৫. হজমে সাহায্য করে
তেজপাতা হজমশক্তি ভালো করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। হজম রস তৈরিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এর এনজাইম দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে।
৬. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
তেজপাতায় রয়েছে রুটিন, ক্যাফেইক অ্যাসিড ও শ্যালিসাইটলস, যা হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রেসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ক্ষত নিরাময়ে
তেজপাতায় বেশি পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল রয়েছে। এটি সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে।
৮. কিডনির কিছু রোগ দূর করে
কিডনিতে ইনফেকশন বা পাথর হলে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তেজপাতা এই ইউরিয়া কমাতে সাহায্য করে।