যে ৮ উপায়ে বাড়াবেন রক্ত সঞ্চালন
দেহের প্রতিটি কোষের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন। আমাদের দেহে প্রায় ৬০ হাজার মাইল রক্তনালি রয়েছে। এসব রক্তনালির মধ্য দিয়েই দেহের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালিত হয়। দেহের কোনো অংশে রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হলে অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাবে পড়ে সেখানকার কোষ। ফলে ব্যাহত হয় সেই অংশের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা। রক্তসঞ্চালন বাড়ে বা ঠিকঠাক মতো হয়, এ জন্য কিছু চর্চা প্রয়োজন।
১. ধূমপান বর্জন করুন
সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট, ধোঁয়াবিহীন সিগারেট—সব কটিরই অন্যতম উপাদান নিকোটিন। এই নিকোটিন রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বাড়িয়ে দেয় রক্তের ঘনত্ব। তাই রক্তসঞ্চালন কমে যায়।
২. পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন
রক্তের প্রধান উপাদান পানি। পানির ঘাটতি হলে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে না। পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি হলে কিংবা আপনার শারীরিক পরিশ্রম বেশি হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৩. বসে কাজ করার মধ্যে বিরতি নিন
আমরা অনেকেই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করি। মাঝেমধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় কাজ করা যায়, এমন ডেস্কের ব্যবস্থা করতে পারেন। কাজের ধরন না বদলেও নিজেদের অভ্যাস বদলে ফেলতে পারেন। কাজের বিরতিতে উঠে দাঁড়ান। হাঁটাহাঁটি করুন।
৪. শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চায় বাড়ে রক্তসঞ্চালন। দৌড়ানো, হাঁটা, দড়িলাফ, সাঁতার, সাইকেল চালানোসহ নানা ব্যায়াম করতে পারেন। চেষ্টা করুন একটু দ্রুততার সঙ্গে হাঁটতে। তবে অভ্যাস না থাকলে ধীরে ধীরে হাঁটার দ্রুততা বাড়ান, হঠাৎই একদিন দ্রুত হাঁটা শুরু করবেন না। অন্যান্য ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
৫. পা থেকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে
আঁটসাঁট মোজা পরুন। পায়ের পেশি সচল রাখুন। দাঁড়ানো অবস্থায় পায়ের পেশি ‘পাম্প’ করুন। বসা অবস্থায়ও পায়ের পেশি বিভিন্ন দিকে নাড়ান।
৬. প্রাণীজ খাবার কম খান
মাংস, পনির ও অন্যান্য প্রাণীজ উৎস থেকে ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ পাওয়া যায়। ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ হলো এমন ধরনের স্নেহ পদার্থ, যা কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে। এসব খাবার গ্রহণ করলে রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এসব খাবারের পরিবর্তে ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খান। অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলুন।
৭. উষ্ণতার পরশ নিন
উষ্ণতায় রক্তনালি প্রসারিত হয়। উষ্ণ পানিতে গোসল করতে পারেন। উষ্ণ পানীয়ও গ্রহণ করতে পারেন।
৮. ত্বক ‘ব্রাশ’ করতে পারেন
প্রতিদিন ত্বক ‘ব্রাশ’ করতে পারেন। শক্ত, সমান ব্রাশের সাহায্যে শুষ্ক ত্বক ব্রাশ করুন। শুরু করুন পা থেকে। নিচ থেকে ওপরের দিকে ব্রাশ করতে হবে। হাত-পায়ে ব্রাশ করুন লম্বালম্বি। পিঠের নিচের দিকটা এবং পেটে চক্রাকারে ব্রাশ করুন। ব্রাশ করার পর গোসল করুন।
সূত্র: ওয়েবএমডি