সাঁতার খুব ভালো ব্যায়াম বলে বিবেচিত। কারণ, এর মাধ্যমে শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল হয়। সাঁতারের সময় শরীরের অসংখ্য পেশি একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ক্যালরিও বার্ন হয় অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় বেশি।
কিন্তু সাঁতারকে যদি ব্যায়াম হিসেবে বেছে নেন, তবে জানা উচিত যে অন্যান্য ব্যায়ামের মতো এর আগেও ওয়ার্মআপ করা উচিত। চট করে পুলে নেমে না গিয়ে আগে খানিকটা ওয়ার্মআপ করে নেওয়া ভালো।
উপকারিতা
ওয়ার্মআপ সেশন পেশির ইনজুরির ঝুঁকি কমায়। তাই আগে একটু পেশিগুলো স্ট্রেচিং করে নেওয়া উচিত।
ওয়ার্মআপের ফলে পেশিগুলোয় অক্সিজেন সরবরাহ হয়। তখন আর সাঁতার কষ্টসাধ্য মনে হয় না। পা জড়িয়ে আসে না।
ওয়ার্মআপ তাপমাত্রা বাড়ায়। ফলে ‘মাসল ক্র্যাম্প’ বা টান লাগার ঝুঁকিও কমে। মিনিট পাঁচেক ওয়ার্মআপ রক্ত চলাচলের মাধ্যমে কোষে গ্লুকোজ, ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো জ্বালানি বা রসদ পৌঁছে দেয়। সাঁতারের সময় শক্তি উৎপাদনে এর ভূমিকা আছে।
যেকোনো ব্যায়ামের আগে ওয়ার্মআপ হৃদ্যন্ত্রের প্রক্রিয়া বা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে প্রস্তুত করে। ধমনি-শিরা-উপশিরায় প্রয়োজনীয় রক্ত চলাচল ও গ্লুকোজ প্রবাহ নিশ্চিত করে।
ওয়ার্মআপ একজন সাঁতারুকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতেও সময় দেয়।
সবচেয়ে ভালো ওয়ার্মআপ হলো কার্ডিও ও স্ট্রেচিংয়ের যৌথ মিশ্রণ। অর্থাৎ এমন কিছু ব্যায়াম, যা হার্টবিট বাড়াবে এবং পেশির সম্প্রসারণ-সংকোচনে সাহায্য করবে।
খেয়াল রাখবেন
সুইমিং পুলের পানিতে রাসায়নিক থাকা ও একাধিক মানুষ ব্যবহার করার কারণে ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকলে, ঠান্ডার সমস্যা থাকলে, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে সাঁতারে নামা উচিত নয়।
ঘাড় ও হার্টের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা