সন্ধ্যায় হাঁটা কেন ভালো

হাঁটা বরাবরই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এতে শরীরচর্চা যেমন হয়, তেমনি নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। সন্ধ্যায় নিয়মিত হাঁটলে এগুলোর বাইরেও পাবেন বেশ কিছু শারীরিক উপকার। জেনে নিন কী কী উপকার।

ভালো ঘুম
দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে সন্ধ্যায় শরীরে মেলানিন তৈরি হয়। এটা আপনার শরীরকে রাতে ঘুমের চক্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় হাঁটলে শরীরের এই প্রক্রিয়া আরও ভালো কাজ করে। রাতে আরও ভালো ঘুম হয়।

সন্ধ্যায় হাঁটার অভ্যাস সারা দিনের চাপ থেকে আপনাকে মুক্ত করবে
ছবি: পেক্সেলসডটকম

চাপ কমায়
হাঁটাহাঁটি এমনিতেই মানসিক চাপ কমাতে ভীষণ উপকারী। দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি আপনার মনকে করবে ফুরফুরে। সন্ধ্যায় হাঁটার অভ্যাস সারা দিনের চাপ থেকে আপনাকে মুক্ত করবে।

মুড ভালো করে
নিয়মিত শরীরচর্চার কেবল শারীরিকই নয়, বিবিধ মানসিক উপকারও রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়ামে মেজাজ ভালো থাকে। কমায় হতাশা ও উদ্বেগের মাত্রা। সন্ধ্যায় হাঁটার সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং তাজা বাতাস আপনাকে আরও ভাল বোধ করতে সহায়তা করে।

হৃৎপিণ্ডের সজীবতা
হাঁটা খুব সহজ ও কার্যকর একটি ব্যায়াম। আপনার হৃৎপিণ্ডের ওপরেও স্বাস্থ্যকর প্রভাব পড়ে। নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ, শক্তিশালী করে হৃৎপিণ্ড, বাড়ায় রক্ত চলাচল। কমায় প্রদাহ, নিয়ন্ত্রণে আনে রক্তে চিনির পরিমাণ।

নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ, শক্তিশালী করে হৃৎপিণ্ড, বাড়ায় রক্ত চলাচল
ছবি: রয়টার্স

বাড়ায় উদ্যম
ক্লান্তির কারণে অনেকেই সন্ধ্যায় হাঁটতে চান না। দিনভর কাজ করে সন্ধ্যায় আর শরীর হাঁটতে সায় দেয় না। অথচ হাঁটলে হয় উল্টো ফল। শরীরে আরও উদ্যম আসে। বিশেষত যাঁরা সারা দিন বসে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা বেশি করে সত্য। সামান্য হাঁটাতেই আবার জেগে ওঠে শরীর। দেখবেন, আপনার শরীর আরও চনমনে, সজাগ ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সন্ধ্যায় হাঁটা বিশেষ সহায়ক। তাতে যেমন প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়, তেমনি সহায়তা করে বিপাক প্রক্রিয়ায়। সেই সঙ্গে দূর হয় বেশি খাওয়ার প্রবণতা। হজমের জন্যও এই অভ্যাস বেশ সহায়ক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সন্ধ্যায় হাঁটা বিশেষ সহায়ক
ছবি: পেক্সেলসডটকম


শক্তিশালী স্মৃতিশক্তি
সন্ধ্যায় হাঁটার অভ্যাস মানসিক অবসাদ দূর করে। বাড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল। পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে আপনি অনেক কিছু দেখেন। অনেক কিছু অনুভব করেন। এর ফলে নতুন নতুন স্মৃতি তৈরি হতে থাকে। এগুলো আপনার অনুভূতি ও সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করে। সব মিলিয়ে, আপনার স্মৃতিশক্তিতে রাখে ইতিবাচক প্রভাব।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি