মুখের অস্বস্তিকর রোগ মিউকোসিল কেন হয়, চিকিৎসা ও প্রতিকার কী

মিউকোসিল মুখগহ্বরের একটি সমস্যা, যা লালা গ্রন্থির ব্লকেজ কিংবা আঘাতের কারণে সৃষ্টি হয়ছবি: পেক্সেলস

মিউকোসিল মুখগহ্বরের একটি সমস্যা, যা লালা গ্রন্থির ব্লকেজ কিংবা আঘাতের কারণে সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত ঠোঁট, জিহ্বা বা মুখগহ্বরের ভেতরের নরম টিস্যুতে গঠিত হয় এবং দেখতে তরল পদার্থে পূর্ণ ছোট পিণ্ড বা সিস্টের মতো। যদিও এটি নিরীহ, তবে দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলা করলে এটি জটিলতা তৈরি করতে পারে।

কেন হয়

আগেই বলা হয়েছে, সাধারণত লালা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এ রোগ হয়। এ ক্ষতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আঘাত, যেমন ঠোঁট কামড়ানো বা দাঁতের ধারালো অংশের সঙ্গে টিস্যুর ঘর্ষণ থেকে হতে পারে। লালা গ্রন্থির রন্ধ্র ব্লক হলে লালা বের হতে না পারায় এটি সিস্ট আকারে জমা হয়।

মিউকোসিল সাধারণত ছোট, নরম ও স্বচ্ছ পিণ্ড আকারে দেখা যায়। এটি নীলচে বা স্বাভাবিক ত্বকের রঙের হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন

মিউকোসিল সাধারণত ছোট, নরম ও স্বচ্ছ পিণ্ড আকারে দেখা যায়। এটি নীলচে বা স্বাভাবিক ত্বকের রঙের হতে পারে। ব্যথা সাধারণত হয় না, তবে আকারে বড় হয়ে গেলে অস্বস্তি হতে পারে। মিউকোসিল ভেঙে গেলে বা ফেটে গেলে তরল বের হতে পারে এবং এটি আবার হতে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিকার

মিউকোসিল সাধারণত ক্ষতিকর নয় এবং ছোট আকারের হলে নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। তবে বড় আকারের বা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

  • চিকিৎসায় সাধারণত সার্জারি বা লেজারের মাধ্যমে সিস্ট অপসারণ করা হয়।

  • ঠোঁট কামড়ানো বা মুখগহ্বরের অভ্যাসগত আচরণ বন্ধ করতে মনোযোগ দিতে হবে।

  • প্রতিদিন মুখগহ্বর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি লালা গ্রন্থি সুরক্ষায় সচেতন থাকা জরুরি।

মিউকোসিল একটি ছোট সমস্যা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে অস্বস্তি ও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এটি। সময়মতো ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা করলে এ সমস্যা সহজেই নিরাময় করা যায়।

ডা. জেবিন জান্নাত জুঁই, ডেন্টাল ইউনিট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম