গোসলের সময় যে ১০টি ‘স্মার্ট’ কাজ করা যায়
কেবল শরীরকে ধুয়ে পরিষ্কার করা নয়, শাওয়ার নেওয়ার সময় আরও কয়েকটি কাজ করা যায়। কী সেই কাজ? চলুন জেনে নেওয়া যাক—
একান্তে ঝরঝর জলের ধারার সুখ
শাওয়ার নেওয়া হতে পারে সীমাহীন আনন্দের উৎস। এ সময় কেউই আমরা বিরক্ত হতে চাই না। সবাই একান্তে এই ধারা জলের গা বেয়ে পড়াকে উপভোগ করতে চাই। শাওয়ারের ঝরঝর ধারা যে নিজেই হয়ে যায় ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন, এমন মন্তব্য করেছেন আমেরিকার বিহেভিয়ার বিজ্ঞানী অয়েন্ডি এল প্যাট্রিক।
মাথা খাটানোর সময়
মস্তিষ্কে ঝড় তোলার (ব্রেন স্টর্মিং) জন্য সময়টা দারুণ। একান্ত এ সময়ে মগজকে খেলানো যায় ইচ্ছেমতো। হয়তো সামনের বিবাহবার্ষিকীর পরিকল্পনা, নয়তো দিনের কাজের একটি ‘টু ডু চেক লিস্ট’ মনে মনে তৈরি করে ফেলার একটা সুযোগ শাওয়ার টাইম। এ যে নিজস্ব অবসর। কেউ এখন বিরক্ত করছে না।
খবর শুনতে নেই মানা
গাড়ি চালানোর সময় খবর শুনলে মন অনেক সময় অন্যদিকে চলে যায়। কিন্তু শাওয়ার নেওয়ার সময় ইচ্ছা করলে মুঠোফোনে শোনা যায় দেশ–বিদেশের সাম্প্রতিক খবর। চুল ভেজাতে ভেজাতে শুনতে কি মানা?
প্রাণ খুলে করি গান
হোক হেঁড়ে গলা, অনেকেরই তবু শাওয়ারের নিচে মনপ্রাণ খুলে গান করার অভ্যাস আছে। আমারও আছে। এতে যে কী ভালো লাগা কাজ করে, যাঁরা করেন তাঁরাই জানেন। এখানে কোনো মানা নেই, বন্ধ করার তাগিদ নেই। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শাওয়ারের নিচে এমনভাবে গান করার নানান স্বাস্থ্যগত সুবিধা আছে। স্ট্রেস তো কমেই, উজ্জীবিত হয় দেহ। তাই শাওয়ারের নিচে কথা নয়, শুধু গান আর গান হোক।
ব্যবহার করুন সুগন্ধি তেল
শাওয়ার নেওয়ার সময় গন্ধসার তেলের কয়েক ফোঁটা যোগ করে নিন। এতে মন হবে প্রশান্ত। দিনের ব্যস্ততার পর এতে মেজাজ হবে চনমনে। আর কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দেয় অনেক শান্তি। ইউক্যালিপটাস তেলও বেশ কাজ দেয় শাওয়ারে।
আনে শিথিলতা
লস অ্যাঞ্জেলেসের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ম্যারি গ্লসান বলেন, শাওয়ারের গরম পানি যখন ঘাড়ে পড়ে, তখন তা স্ট্রেস উপশমে দারুণ কাজ করে। ঘাড়ে গরম পানি পড়লে রক্ত চলাচল বাড়ে। দেহভঙ্গির ত্রুটির কারণে শরীরে ব্যথা বা জড়তা (ল্যাকটিক অ্যাসিড) হতে পারে। পানির ধারার সঙ্গে ঘাড় এদিক-ওদিক ঘোরালে সেই বিষ চলে যায় দ্রুত।
আগামী কোনো উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুতির এই তো সময়
আগামীকাল কোনো বক্তৃতা দেবেন? চর্চা করে নিলে তা নিখুঁত হবে। চর্চা করার প্রকৃষ্ট সময় শাওয়ার। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ জং ফেইজার বললেন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করার চেয়ে শাওয়ারের নিচে বক্তৃতার চর্চা অনেক বেশি ফলপ্রসূ।
পরিষ্কার আর পরিচ্ছন্ন হলো স্নানঘর
মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহারের পর বাথরুমের দেয়ালগুলো ঘষে মেজে পরিষ্কার করে নিন। এরপর শাওয়ার নিন।
নিশ্চিন্তে চলতে পারে ধ্যান
শাওয়ার নিলে মন থেকে দূর হয় নেতিবাচক চিন্তা আর দুশ্চিন্তা। এ এক রকমের রিলাক্সেশন স্পেস। শাওয়ার ধ্যান করারও চমৎকার স্থান। এখানে আপনি একা, বিরক্ত করার কেউ নেই। হাতের কাছে নেই কোনো ডিভাইস। জলের ধারা আনে রিলাক্সেশন স্পেস। বাড়ে সৃজনশীলতা। ভাবুন জলের সঙ্গে ধুয়ে চলে যাচ্ছে সব নেতিবাচক চিন্তা।
চলতে পারে শরীরচর্চা
জিমে যাওয়ার সময় নেই। শাওয়ারের সময়ই ওঠা–বসা, পায়ের আঙুলের চর্চার মতো কিছু ওয়ার্কআউট করতে পারেন। তবে দেখবেন পা যেন না পিছলায়।