জোয়ানের এই ৬টি আশ্চর্য উপকারিতার কথা জানতেন?
আজওয়ান বা জোয়ান দেখতে জিরার মতো হলেও এর স্বাদ ও গন্ধ ভিন্ন। এটি ক্যারম সিড, বিশপস উইড ও আজওয়ান ক্যারাওয়ে নামেও পরিচিত। জোয়ানবীজে থাকে ‘আজওয়ান তেল’। এই তেলে থাইমল থাকে। থাইমল সাধারণত হজমের সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। জোয়ানে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও আছে। এ ছাড়া জোয়ানের আরও ছয়টি উপকারিতা রয়েছে।
জোয়ানের পুষ্টিগুণ
জোয়ান ফাইবার ও খনিজসমৃদ্ধ। এক চা-চামচ জোয়ানে রয়েছে ৫ ক্যালরি, প্রোটিন ১ গ্রামের কম, ফ্যাট ১ গ্রামের কম, কার্বোহাইড্রেট ১ গ্রাম, ফাইবার ১ গ্রাম। এ ছাড়া এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড।
হজমক্ষমতা উন্নত করে
জোয়ানে থাকা বিশেষ এনজাইমগুলো পেটের অ্যাসিডের প্রবাহ বাড়িয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিড হজমের সমস্যা, ফোলাভাব ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। এ ছাড়া জোয়ান পেপটিক আলসার এবং খাদ্যনালি, পেট ও অন্ত্রের ঘা দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
সংক্রমণ প্রতিরোধ করে
জোয়ানের উপাদান ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এটি সালমোনেলা এবং ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও লড়াই করে। এগুলো খাদ্যে বিষক্রিয়া ও অন্যান্য পেটের সমস্যার কারণ।
রক্তচাপ কমানো
ইঁদুরের ওপর চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জোয়ানের থাইমল হার্টের রক্তনালিতে ক্যালসিয়াম ঢুকতে বাধা দেয়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কাশি ও শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়
শীতের সময় জোয়ান বেশ উপকারী। কারণ, জোয়ান কাশি উপশম করতে এবং নাক থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। ফলে সহজ হয় শ্বাসপ্রশ্বাস।
দাঁতব্যথা কমাতে সহায়ক
দাঁতব্যথায় কষ্ট করছেন? তাহলে জোয়ান খেতে পারেন। কারণ, জোয়ানের থাইমল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তেলের প্রদাহবিরোধী গুণ আছে। তাই এটি দাঁতব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে। থাইমল মুখের ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে বলে মুখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশম
দিন দিন আর্থ্রাইটিসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়, হাঁটু ফুলে যায়। এগুলো উপশম করতে পারে জোয়ান। জোয়ান পেস্ট তৈরি করে জয়েন্টের চামড়ায় লাগালে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিরাময় হয়। এ ছাড়া গরম পানিতে একমুঠো বীজ মিশিয়ে গোসল করলেও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমতে পারে।
সতর্কতা
জোয়ান সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীদের এটা এড়িয়ে চলা উচিত। এর কারণে জন্মগত ত্রুটি বা গর্ভপাত হতে পারে।
সূত্র: ওয়েব এমডি