মস্তিষ্কের একটি অংশে ডোপামিন তৈরি কমে যাওয়ার কারণে এই রোগটি হয়

পারকিনসন রোগের শেষ পর্যায়ে রোগীর হুইলচেয়ার প্রয়োজন হয়
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

ইডিওপ্যাথিক পারকিনসনস হলো একধরনের নিউরো-ডিজেনারেটিভ বা স্নায়বিক রোগ। মস্তিষ্কের একটি অংশে ডোপামিন তৈরি কমে যাওয়ার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময়ে রোগটি বংশানুক্রমে হতে দেখা যায়। সাধারণত ৬০ বছর বয়সে এই রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। কখনো কখনো ৪০ বছরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ

ধীরগতিতে ছোট ছোট পদক্ষেপে চলা; হাত, পা, চোয়াল, মাথা কাঁপা; হাত-পা ভাঁজ করতে অসুবিধা (পেশির অনমনীয়তা); ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা ও পড়ে যাওয়ার প্রবণতা।

চিকিৎসা

এই রোগ পুরোপুরি সারে না। তবে উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। এ ক্ষেত্রে ওষুধ, ফিজিওথেরাপি, চলাচলের জন্য দরকারি সাপোর্ট দেওয়ার মতো কিছু যন্ত্রের মাধ্যমে রোগী সচল থাকতে পারেন। পারকিনসন রোগের শেষ পর্যায়ে রোগীর হুইলচেয়ার প্রয়োজন হয় ও শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।

আনুষঙ্গিক যে সমস্যাগুলো থাকে তা হলো ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, চিনতে না পারা, ভুলে যাওয়া, অনিদ্রা, বিষণ্নতা, কিছু মানসিক সমস্যা, ব্যথা বোধ করা ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলোর জন্যও ওষুধ দেওয়া হয়।

সব দেশেই পারকিনসন আক্রান্ত রোগীদের আলাদা সোসাইটি আছে। যেখানে তাঁদের একসঙ্গে রোগটি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়, ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্পিচ থেরাপি, হাঁটা-চলার প্রশিক্ষণ, তাঁদের উপযোগী খাবার তৈরি, যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, হাতের লেখা, প্রাত্যহিক কাজ, অকুপেশনাল থেরাপি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ডা. রোজানা রউফ: সহযোগী কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল