সাহ্রিতে কেন রুটির বদলে ভাত খাবেন
সাহ্রিতে ভারী আর অতিরিক্ত ঝাল, তেল, ভুনাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। বুক জ্বালাপোড়া করার ঘটনা কমে যাবে
অনেকেই মনে করেন, সাহ্রিতে খেতে হবে অনেক। ধারণাটি ভুল। সহজপাচ্য খাবার অনেক খেলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হজম হয়ে যায়। তবে এ কারণে ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ঝাল, তেল, ভুনাজাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলা ভালো। বুক জ্বালাপোড়া করার ঘটনা কমে যাবে। বরং বেছে নিতে হবে এমন পদ, সারা দিন ধরে যা আমাদের শক্তি জোগাবে।
পানি পান এ সময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাহ্রিতে একবারে অনেক পানি পান না করে ইফতারের পর থেকে অল্প অল্প পানি খাওয়া উচিত। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে দুই থেকে আড়াই লিটার পানির প্রয়োজন। এ ছাড়া সাহ্রিতে দুধ অথবা দই খাওয়া যেতে পারে। খেজুর খুব ভালো শক্তির উৎস, এতে রয়েছে ৬৬ ক্যালরি শক্তি। সারা দিন এটা আপনাকে শক্তি জোগাবে। সাহ্রিতে একেকজন একেক রকম খাবার খেতে পছন্দ করেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাত খেয়ে থাকি আমরা। ভাতকে বিয়োগ করতে চাইলে শর্করাজাতীয় খাবার হিসেবে যোগ করতে পারেন ওটস, নুডলস। রুটি এ সময় না খাওয়াই ভালো। রুটিতে ফাইবার থাকে, যেটি খাওয়ার ফলে পানি পিপাসা পেতে পারে।
বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদের মতে, সাহ্রির খাবার হওয়া উচিত সাদামাটা, যেন সহজেই হজম হয়ে যায়। অভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে অনেকে এ সময়ে খেতে চান না। ভাতের সঙ্গে লাউ, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙে খেলে হজমের সহায়ক হয়। মুরগির মাংসের সঙ্গে পেঁপে বা লাউ থাকলে একদিকে যেমন আমিষ খাওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সবজির চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। একইভাবে লাউচিংড়ি সহজে রান্না করা যায়। এটা সহজে হজমও হয়।
কেউ ভাত খেতে না চাইলে নুডলসের স্যুপ খেতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে মুরগির মাংস। চিকেন স্যুপ শক্তি জোগাবে সারা দিন। আমিষের উৎস হিসেবে মুরগি, গরু বা খাসির মাংস এবং ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে ইফতারে আমরা যে ধরনের খাবার সচরাচর খাই, যেমন ছোলা, ঘুগনি, হালিম—এগুলোতেও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। ডিম বেশ ভালো আমিষের উৎস। ভিটামিন সি ছাড়া অন্য সব গুণাগুণ ডিমে উপস্থিত। সাহ্রিতে চা, কফি ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়। চা, কফিতে ক্যাফেইন থাকে, তাই ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, তৃষ্ণাও বেড়ে যায়।