গ্লুকোমার এই ৭ লক্ষণ অবহেলা করলে বিপদ
গ্লুকোমা এক নীরব ঘাতক। চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ রোগ হয়। আবার চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ (প্রেশার) বেড়ে গিয়েও এ রকম হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ স্বাভাবিক থাকলেও এ রোগ হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সঠিক চিকিৎসার অভাবে চিরদিনের মতো দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন গ্লুকোমা রোগী। তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া গেলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
গ্লুকোমার অন্যতম লক্ষণ
১. চোখ ব্যথা ও লাল হওয়া
২. চোখ আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়া। উজ্জ্বল কিংবা একটু কম আলোয় দেখতে অসুবিধা হওয়া।
৩. আলোর চারপাশে বিভিন্ন বাড়তি রং দেখতে পাওয়া।
৪. চোখ, মাথা ও কপালব্যথা
৫. চোখ ফোলা
৬. বমি ভাব
৭. ঘন ঘন চশমার পাওয়ার বদল
সব রোগীরই যে একই ধরনের লক্ষণ দেখা যাবে, তা কিন্তু নয়। আবার এসব লক্ষণ যে কেবল গ্লুকোমাতেই হয়, তা–ও নয়। তাই লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত হবেন না। বরং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোমার চিকিৎসা শুরু করলে অন্ধত্বের ঝুঁকি কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কেবল ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে কারও কারও লেজারের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। জটিল ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
কারা রয়েছেন ঝুঁকিতে
যাঁদের বয়স ৪০ পেরিয়েছে
যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে
যাঁদের বংশে কারও গ্লুকোমার ইতিহাস রয়েছে
গ্লুকোমা প্রতিরোধের উপায়
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চোখে কোনো ড্রপ ব্যবহার করবেন না, দীর্ঘ মেয়াদে তো নয়ই। স্টেরয়েড–জাতীয় ড্রপের কারণে গ্লুকোমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
চোখে যাতে কোনোভাবেই কোনো আঘাত না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক।
ভালো থাকতে হলে
বয়স ৪০ বছর পেরোলে প্রত্যেকেরই বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোমার তেমন কোনো লক্ষণ রোগী না–ও অনুভব করতে পারেন, কিন্তু রোগীর লক্ষণ না থাকলেও চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তা নির্ণয় করতে পারেন। ফলে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়।
*ডা. মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম: সহযোগী কনসালট্যান্ট, চক্ষু বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা