অন্তঃসত্ত্বা নারী দীর্ঘ ভ্রমণে যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর নারীদের বিশ্রামে থাকতে বলা হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও কখনো বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হয়; যেমন ঈদের সময় পরিবারের সবাই মিলে হয়তো গ্রামে বা মফস্সলে যাচ্ছেন, এই দলে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও থাকতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, ভ্রমণে সামান্য অসতর্কতা থেকে হতে পারে অনেক রকমের ক্ষতি! গর্ভাবস্থার সময় মূলত ৪০ সপ্তাহ। বিভিন্ন গবেষণা ও গাইডলাইনে উল্লেখ আছে, গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। একেক জনের শারীরিক অবস্থা একেক রকম হতে পারে। নিরাপদ সময় বেছে নিয়ে অন্য সময় দীর্ঘ যাত্রাপথ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো মনে করেন চিকিৎসকেরা।
যেসব সতর্কতা অবলম্বন করবেন
গাড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সিটবেল্ট সঠিকভাবে বাঁধতে হবে। তবে সিটবেল্ট যেন পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হব।
অতিরিক্ত ঝাঁকুনি লাগতে পারে, এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা উচিত নয়।
ভ্রমণের সময় একাধিকবার বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে, বিষয়টি মাথায় রেখে যানবাহন নির্বাচন করতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করতে হবে।
যাত্রা দীর্ঘ সময়ের হলে পুরো সময় বসে না থেকে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে।
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে।
প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে।
বালিশ, আরামদায়ক জুতা, পানির বোতল এসব নিয়ে যাওয়া জরুরি।
ভ্রমণে সম্ভব হলে পথে বিরতি নিন, তারপর আবার ভ্রমণ করুন। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টানা দুই ঘণ্টার বেশি ভ্রমণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সে কারণে দূরবর্তী স্থানে না যাওয়াই ভালো। এমনকি কোন পথে ভ্রমণ করছেন, সে পথ সম্পর্কে জানা জরুরি। এলোমেলো রাস্তা এবং ঘনঘন লেন পরিবর্তন করতে হয়, এমন রাস্তা এড়িয়ে চলুন। তা ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে না যাওয়া ভালো। কারণ, জরুরি অবস্থায় চিকিৎসাসেবা পাওয়া কঠিন হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ভ্রমণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।