সিঁড়ি বেয়ে উঠলে হাঁপিয়ে যান? কখন বুঝবেন আপনার ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন?
আমরা অনেকেই এমন জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত, যেখানে আমাদের বেশির ভাগ কাজকর্মই বসে থেকে করা হয় বা খুব অল্প কায়িক শ্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর দৈনন্দিন কাজকর্ম সেরে শারীরিক ব্যায়াম করা আমাদের অনেকেরই হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া অধিকাংশ বহুতল ভবন বা অফিসেই এখন লিফট। তাই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস অনেকেরই থাকে না। চার বা পাঁচতলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গেলে আমরা অনেকেই হাঁপিয়ে যাই। অতিরিক্ত ওজন কিংবা হাঁটুব্যথা থাকলে অনেকে হয়তো এর আগেই কাহিল হয়ে যান। তবে কখনো কখনো এই হাঁপিয়ে ওঠা কিছু নির্দিষ্ট রোগের লক্ষণ। যেমন হৃদ্রোগ, ফুসফুসের সমস্যা, রক্তশূন্যতা, স্থূলতা ইত্যাদি। এই সিঁড়ি উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠার সঙ্গে আর কী কী উপসর্গ থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?
এই সিঁড়ি উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠার সঙ্গে আর কী কী উপসর্গ থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?
যদি বুকে চাপ, ব্যথা হয়, বুক ধড়ফড় করে বা বমিভাব হয়
সঙ্গে কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকে
পা বা শরীর ফুলে যায়
শরীর অত্যধিক দুর্বল লাগে
খাওয়ার রুচি কমে যায়, ওজন কমে যায়
আর একটা কারণ, যেটা মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়, যেটা সম্পর্কে আমাদের ধারণা সীমিত, তাকে বলে ডিকন্ডিশনিং। ভারী কায়িক পরিশ্রমের কাজে হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক। যাঁরা বেশি কর্মক্ষম, তাঁরা একটু কম শ্রান্ত হন; আর যাঁরা কম ফিট, তাঁরা একটু তাড়াতাড়ি হাঁপিয়ে ওঠেন। ডিকন্ডিশনিং হলো যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম এড়িয়ে চলেন, বসে কাজ করেন, তাঁরা অনেক সময় খুব অল্প কাজেই শ্রান্ত হয়ে যান। দীর্ঘদিন শারীরিক ব্যায়াম না করার কারণে তাঁদের হৃদ্যন্ত্র এবং মাংসপেশির কার্যক্ষমতা কমে যায়। খুব অল্প পরিশ্রমে তাঁরা ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া বা হাঁপিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কোভিড ইনফেকশনের পরে কিছু রোগীর মধ্যেও এ–জাতীয় উপসর্গ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রশ্ন করলে জানা যায় যে তাঁরা আসলে শ্বাসকষ্টের চেয়ে শ্রান্ত হয়ে যাওয়া অথবা পায়ে ব্যথার জন্য কাজ করতে পারছেন না। গ্রেডেড এক্সারসাইজ এ ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে।ফিটনেস বা শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার অভ্যাস আমাদের সবার জন্যই উপকারী।
এ জন্য যা করা যায়—
নিয়মিত হাঁটা বা শারীরিক ব্যায়াম
বাসায় লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট
মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড