জেনে নিন কীভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন
সানস্ক্রিন প্রতিদিনই ব্যবহার করা উচিত, এমনকি আপনি ঘরের ভেতর থাকলে বা চুলায় রান্না করার সময়ও ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে এবং দ্রুত ত্বকে আনে বার্ধক্য।
ভালো সানস্ক্রিন বেছে নেওয়ার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে—
এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর): এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন বেছে নিন। এটি ইউভিবি রশ্মি থেকে ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।
ব্রড-স্পেকট্রাম: ইউভিএ ও ইউভিবি উভয় ধরনের রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
পানিরোধক: ঘেমে গেলে বা পানির সংস্পর্শে এলে সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা চলে যায়। তাই পানিরোধক সানস্ক্রিন ভালো হবে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী নির্বাচন
তৈলাক্ত ত্বক: অয়েল-ফ্রি বা ম্যাট ফিনিশ সানস্ক্রিন বেছে নিন।
শুষ্ক ত্বক: ময়েশ্চারাইজিং উপাদানযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সংবেদনশীল ত্বক: ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন যেমন জিংক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই–ক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নিন।
সানস্ক্রিন কেন অত্যাবশ্যক?
ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করে
বলিরেখা পড়া রোধ করে
মেছতা ও দাগ কমায়
সূর্যে পোড়া ভাব প্রতিরোধ করে
ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে
সানস্ক্রিন কখন এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে
সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত, এমনকি মেঘলা দিনে বা ঘরের ভেতর থাকলেও।
বাইরে যাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে লাগাতে পারলে ভালো।
প্রতি ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পরপর লাগান।
মুখ ও ঘাড়ে প্রায় এক টেবিল চামচ সানস্ক্রিন লাগান। অন্যান্য অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে।
কেবল মুখ নয়, কান, ঘাড়, হাত, পা এবং শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশেও সানস্ক্রিন লাগান।
মেকআপের আগে ব্যবহার করুন।
গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের সানস্ক্রিন নিরাপদ?
গর্ভাবস্থায় মিনারেল-বেজড বা ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এই সানস্ক্রিনে সাধারণত জিংক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই–অক্সাইড থাকে, যা ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে এবং ইউভি রশ্মিকে প্রতিফলিত করে।
কোন ধরনের সানস্ক্রিন এড়ানো উচিত?
কেমিক্যাল সানস্ক্রিন। কেমিক্যাল সানস্ক্রিনে থাকা কিছু উপাদান, যেমন অক্সিবেনজোন বা অ্যাক্টিনোক্সেট ত্বকে শোষিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা উচিত।
গর্ভাবস্থায় সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুবিধা
গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর ত্বকে মেছতা দেখা দেয়। সানস্ক্রিন ব্যবহার করে এটি কমানো সম্ভব।
ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে।
ডা. সিনথিয়া আলম, কনসালট্যান্ট, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিভাগ, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার, ঢাকা