চল্লিশের পর কি বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়
অনেক বয়সেও কারও কারও বাবা হওয়ার খবর হয়তো সংবাদপত্রে পড়েছেন। পড়ে হয়তো আশ্চর্যও হয়েছেন। এ বয়সে কি বাবা হওয়া সম্ভব! বিজ্ঞান বলছে, একজন পুরুষ মোটামুটি চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত বাবা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উনচল্লিশ বছর বয়স থেকেই বাবা হওয়ার সক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর এরপর বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে প্রতিবছরই। আরেকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ত্রিশ বছরের কম বয়সী একজন ব্যক্তির বাবা হওয়ার যতটা সম্ভাবনা থাকে, চল্লিশ বছর বয়স পেরোনোর পর তা কমে যায় ৩০ শতাংশ। এমনকি চিকিৎসা-প্রযুক্তির সহায়তায় বাবা হওয়ার ক্ষেত্রেও বয়সের সঙ্গে সম্ভাবনা কমতে থাকে।
বয়স তো বটেই, এ ছাড়া কিছু বিষয় রয়েছে, বাবা হওয়ার সম্ভাবনা ঠিক রাখতে, যা খেয়াল করা প্রয়োজন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করাও ঠিক না। তাই আপনি যদি বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং আপনার নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস না থেকে থাকে, তাহলে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
এমন কাজ না করাই ভালো, যাতে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বাড়ে। তলপেট বা এর নিচের অংশে গরম পানি ব্যবহার করা, উষ্ণ পানিতে সাঁতার কাটা কিংবা বাথটাবে উষ্ণ পানিতে সময় কাটানো থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। কোনো একটি টক ফল বা এর রস গ্রহণ করতে পারেন রোজ। তবে টক ফলের আচার বা চাটনির মতো এমন কোনো পদ গ্রহণ করে লাভ নেই, যা তাপে তৈরি হয়েছে। কারণ, উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
চাপমুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন। মানসিক চাপের সঙ্গে বাবা হওয়ার সক্ষমতার একটি যোগসূত্র রয়েছে। হয়তো আপনি বেশ কিছুদিন ধরে সন্তানের জন্য চেষ্টা করছেন, কিন্তু মনস্কামনা পূর্ণ হচ্ছে না। এ নিয়েও দুশ্চিন্তা করবেন না। সন্তানের বাবা-মা হওয়ার বিষয়টি আপনি বা আপনার স্ত্রী চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। দুজনেই বরং আয়েশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। ধ্যানও করতে পারেন। এই প্রচেষ্টার সময়টুকুর কথা একটু একটু করে লিখে রাখতে পারেন ডায়েরিতে। মনের চাপ একটু হলেও কমবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করবেন না। স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবনে বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন অবশ্যই।
সূত্র: হেলথ লাইন, ফোর্বস হেলথ