কোন বয়সে স্ক্রিন টাইম কত
একজন মানুষ ডিজিটাল মিডিয়া, অর্থাৎ কম্পিউটার, স্মার্টফোন কিংবা টিভির সামনে ঠিক যতটুকু সময় কাটান, সেটাই তাঁর ‘স্ক্রিন টাইম’। বয়সভেদে স্ক্রিন টাইমের তারতম্য হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির হাতে যতক্ষণ মুঠোফোন থাকবে, একটি শিশুর হাতে নিশ্চয় ততক্ষণ মুঠোফোন রাখা যাবে না। এতে করে বিনোদনের মাধ্যম উল্টো হয়ে উঠতে পারে ক্ষতির কারণ। বয়সভেদে এই স্ক্রিন টাইম কতটুকু হবে?
১৮ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য স্ক্রিন একেবারে নিষিদ্ধ। শুধু নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য ভিডিও কলে তাকে সময় দেওয়া যাবে। সেটিও বেশিক্ষণ নয়।
মা-বাবা চাইলে ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের শিক্ষণীয় বা মজার কিছু স্ক্রিনে দেখাতে পারেন। সেটাও ৩০ মিনিটের বেশি নয়। স্ক্রিন টাইমের সময়টুকু তারা মা-বাবার সঙ্গে, মা-বাবার সামনে ব্যয় করবে।
২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য স্ক্রিন টাইম সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা। স্ক্রিন টাইমের বেশির ভাগ সময়জুড়েই থাকবে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম।
৬ কিংবা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য স্ক্রিন টাইমও বেঁধে দেবেন মা-বাবা। তবে সেটা যেন কোনোভাবেই তিন ঘণ্টার বেশি না হয়। এই সময়ে শিশুদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি বিকাশ হয়। নিয়মিত শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখলে তা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করবে।
কিশোর বয়সে পা রাখার সময় থেকে বাড়তে থাকবে স্ক্রিন টাইম। তবে তা যেন নিয়মের বাইরে না বেরিয়ে যায়। কারণ, এই বয়সে চোখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এই সময়ে স্ক্রিন টাইম যাতে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য স্ক্রিন টাইম বেঁধে দেওয়া খুবই মুশকিলের বিষয়। আধুনিক সময়ে অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয় স্ক্রিনের সামনে বসে। অফিসের কাজ ছাড়া তাই বাকি সময়টায় স্ক্রিন টাইম কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার না করা, স্ক্রিন টাইমের মাঝে নিয়মিত বিরতি নেওয়া, নিয়মিত সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থেকে চোখের ব্যায়াম করা—এসবের মধ্য দিয়ে চোখের আরামের ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্যসূত্র: অল অ্যাবাউট ভিশন